বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই রেকর্ড বইয়ে ওলটপালট

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই রেকর্ড বইয়ে ওলটপালট

রান উৎসবের মধ্য দিয়ে শুরু হলো টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডার ১৯৪ রান তাড়া করে ১৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। দুই দলের দাপুটে ব্যাটিংয়ে রেকর্ড বইয়েও অনেক ওলটপালট হয়ে গেছে। এবার একজনরে দেখে নেওয়া যাক, বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে কী কী রেকর্ড হলো।

রান তাড়ায় নেমে অ্যান্ড্রিয়াস গউস আর আ্যারন জোন্স তৃতীয় উইকেটে মাত্র ৫৮ বলে ১৩১ রানের জুটি গড়েন। বিশ্বকাপে সব দল মিলিয়ে তৃতীয় উইকেটে এর চেয়ে বড় জুটি আছে আর একটি। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস ও ওয়েন মরগ্যান ১৫২ রানের জুটি গড়েছিলেন। 

তবে যে কোনো উইকেটেই আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগের রেকর্ড ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সুশান্ত মোদানি ও গজানন্দ সিংয়ের ১১০ রান। বিধ্বংসী জুটিতে ওভারপ্রতি ১৪.২৯ রান করে নিয়েছেন গউস আর জোন্স, যা বিশ্বকাপে শতাধিক রানের জুটিতে সবচেয়ে বেশি।

যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে ১৯৭ রান করেছিল, যা বিশ্বকাপে আইসিসির কোনো সহযোগী সদস্য দেশের সর্বোচ্চ স্কোর। অথচ আগের ইনিংসেই নেদারল্যান্ডসের ১৯৩ রান টপকে নতুন রেকর্ড গড়েছিল কানাডা। দুই ঘণ্টার ব্যবধানে তাদের সেই রেকর্ড হাতছাড়া হয়ে গেল।

আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে এটাই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। বিশ্বকাপে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয় আছে আর মাত্র দুটি। ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৩০ রান তাড়া করে জিতেছিল ইংল্যান্ড। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছিল ২০৬ রান তাড়া করে।

যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের পথে অ্যারন জোন্স খেলেছেন ৪০ বলে ৪ বাউন্ডারি এবং ১০ ছক্কায় ৯৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এটি। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১টি ছক্কা মেরেছিলেন ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটার ক্রিস গেইল। ২০০৭ সালেও তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ ছক্কা মেরেছিলেন।

মন্তব্য করুন: