আফগানিস্তানের সেমি-ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা দেখছেন রশিদ
৩ জুন ২০২৪
গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালের কাছে চলে গিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট তালিকার ছয় নম্বরে থেকেই আসর শেষ করতে হয়েছিল তাদের। বছর না ঘুরতেই শুরু হয়েছে আরও একটি বিশ্বকাপ। ওয়ানডেতে না পারলেও টি-টুয়েন্টির এবারের বিশ্ব আসরে নিজেদের শেষ চারে খেলার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন দলটির অধিনায়ক রশিদ খান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে কারা খেলবে এই নিয়ে সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা নিজেদের পছন্দ মতো দল বেছে নিয়েছে। বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই এই তালিকায় ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা পাকিস্তানকে রেখেছেন। অবশ্য কেউ কেউ এই তালিকায় আফগানিস্তানকেও রেখেছেন।
এখন পর্যন্ত ছয়টি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া আফগানদের সেরা পারফরম্যান্স ছিল ২০১৬ সালের আসরে। সেবার তারা সুপার টেনে ওঠে। তবে এবারের আসরে সুপার এইটের বাধা পেরিয়ে রশিদের দল সেমি-ফাইনালে যেতে পারবে কি না তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু মঙ্গলবার উগান্ডার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তান অধিনায়কের কণ্ঠে স্পষ্ট যে, তারা এখনই শেষ চার নিয়ে ভাবছে না। ম্যাচ ধরে ধরে আগানোই তাদের মূল লক্ষ্য।
কোনো কোনো সাবেক ক্রিকেটারদের আফগানিস্তানকে সেমি-ফাইনালে দেখছে – এই বিষয়ে রশিদের অভিমত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ অনেকেই আমাদের সেমিতে যাওয়ার কথা বলেছেন। আমরা এটাকে ইতিবাচক দিক হিসেবেই দেখছি। আগে আমাদের জন্য মূল পর্বে খেলাটাই কঠিন ছিল। আর এখন অনেকেই আমাদের শেষ চারে দেখছে। আমার মনে হয়, এটা আমাদের জন্য বড় ব্যাপার।”
“তবে আমরা এটা নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। আসল কথা হচ্ছে আমরা মাঠে গিয়ে কীভাবে খেলছি। আমরা গত (ওয়ানডে) বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালের খুব কাছে চলে গিয়েছিলাম। শুধু একটা ম্যাচ দূরেই ছিলাম। সেখান থেকেই আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে কিছুই অসম্ভব নয়। তাই বলব, আমরা এই বিশ্বকাপে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। কিন্তু আমি আগেও যেমনটা বলেছি, আমরা একবারে একটা ম্যাচ নিয়েই এগিয়ে যাব।”
প্রস্তুতিটা আফগানিস্তানের ভালো হয়েছে জানিয়ে রশিদ বলেন, “আমার মনে হয়, এখন পর্যন্ত আমাদের প্রস্তুতিটা খুবই ভালো হয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে আমাদের ঘরোয়া একটি টি-টুয়েন্টি প্রতিযোগিতা হয়েছে। একটা দল হিসেবে খেলোয়াড়দের যে ধরনের প্রস্তুতি দরকার, ওই টুর্নামেন্ট থেকে খেলোয়াড়েরা সেটা পেয়েছে। এরপর এখানেও আমরা দুই সপ্তাহ আগে এসেছি। তাই দল হিসেবে আমাদের যেমন প্রস্তুতির দরকার ছিল তা পেয়েছি।”
রশিদ ছাড়াও আফগান দলের রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান, নাভিন-উল-হক বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে থাকেন। বিশেষ করে অনেকেরই আছে ক্যারিয়িান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলার অভিজ্ঞতা। অন্যদিকে আফগানিস্তানের গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচই হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ফলে কন্ডিশন নিয়ে তারা বাড়তি সুবিধা পাবেন বলে আশা রশিদের।
“আমাদের এমন কিছু খেলোয়াড় আছে যারা কিছুদিন আগে এখানে সিপিএলে খেলেছে। তাদের এখানকার (কন্ডিশন) সম্পর্কে অভিজ্ঞতা আছে। আমরা এটা ছেলেদের সঙ্গে বিনিময় করব। তবে আমি মনে করি, আইসিসির আসরগুলোতে আপনি সবসময় ভিন্ন কিছু পাবেন।”
মন্তব্য করুন: