হারের পর চার ম্যাচে ৪ ভেন্যু নিয়ে অভিযোগ শ্রীলঙ্কার
৪ জুন ২০২৪
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে শ্রীলঙ্কা। গত সোমবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে মাত্র ৭৭ রানে অল-আউট হয়েছে। নিউ ইয়র্কের সেই ভেন্যু থেকে তাদের টিম হোটেলের দূরত্ব দেড় ঘণ্টার। আরও বড় সমস্যা হলো, তাদের গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ হবে ভিন্ন চারটি ভেন্যুতে। তাই ম্যাচের পরই তাদেরকে বিমানে উঠতে হবে। এসব নিয়ে এবার প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করলেন লঙ্কান অফ স্পিনার মহিশ তিকশানা।
সোমবার শ্রীলঙ্কা দলকে সকাল সাতটায় নাশতা না করেই হোটেল ছাড়তে হয়েছিল। তবে কেউই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পেছনে এটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাননি। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিকশানা বলেন, “আমাদের জন্য এটা অন্যায্য হয়ে গেছে। প্রতিটি ম্যাচের পরই আমাদের দৌড়াতে হবে। কারণ, চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলা পড়েছে আমাদের। এটা অন্যায়। ফ্লোরিডার মায়ামি থেকে ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে আট ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হলো। রাত ৮টার ফ্লাইট পেলাম ভোর ৫টায়। এটা অন্যায্য, তবে খেলায় এর প্রভাব পড়েনি।”
এর আগে মায়ামিতে মাঠে পৌঁছতে দেরি হওয়ায় অনুশীলন বাতিল করেছিল শ্রীলঙ্কা। এর কারণ ব্যখ্যা করতে গিয়ে নতুন এক তথ্য দেন তিকশানা, “হোটেল থেকে অনুশীলনের ভেন্যু ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের পথ। আজ (সোমবার) ম্যাচের দিনে তো ভোর ৫টায় উঠতে হয়েছে এখানে আসার জন্য। মাঠ থেকে মাত্র ১৪ মিনিটের দূরত্বে যে দুটি দল হোটেল পেয়েছে, তাদের নাম বলছি না। আমাদের দূরত্ব ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের। ওই দুটি দল একই ভেন্যুতে খেলবে, তাই কন্ডিশনও ওদের জানা থাকবে। একই ভেন্যুতে তারা অনুশীলন ম্যাচও খেলেছে। আর কেউ এমন সুবিধা পায়নি।”
শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও এই লজিস্টিক সমস্যার সমালোচনা করলেও ম্যাচ হারের পেছনে অজুহাত হিসেবে দেননি, “আমরা আসলে এমনটা বলতে পারি না। গত কয়েকটা দিন খুব কঠিন ছিল। চার ভেন্যুতে চার ম্যাচ। এটা কঠিনই। এখানকার কন্ডিশন আমাদের জানা ছিল না। নিউ ইয়র্কে তো এটাই আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিল। পরের ম্যাচ ডালাসে, সেখানকার কিছুও জানা নেই আমাদের। পরের ম্যাচটা ফ্লোরিডায়, সেখানে আমরা দুটি ম্যাচ খেলেছি। আমাদের জন্য একমাত্র ভালো খবর এটিই।”
মন্তব্য করুন: