২০২২ বিশ্বকাপ দলে না থাকা নিয়ে মুখ খুললেন মাহমুদউল্লাহ
৫ জুন ২০২৪
২০২১ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু ২০২২ সালে পরের আসরে দল থেকেই বাদ পড়েছিলেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। বছর ঘুরে শুরু হয়েছে এই ফরম্যাটের আরও একটি বিশ্ব আসর। আর এবারের আসরে টাইগারদের ব্যাটিং স্তম্ভের অন্যতম আস্থা হয়েই দলে আছেন তিনি।
বিশ্বকাপ দলে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে বিসিবির আয়োজিত দ্য গ্রিন রেড স্টোরির এবারের পর্বে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বুধবারের প্রকাশিত এই ভিডিওতে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার কথা বলেন এবারের টুর্নামেন্টে নিজের ও দলের লক্ষ্য নিয়ে। জানান, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ার পর অনুভূতি কেমন হয়েছিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের নবম আসর নিজের বাড়তি কোনো লক্ষ্য নেই জানিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, “আমি কখনো আমার নাম নিয়ে চিন্তা করিনি। ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে আমি খুব একটা চিন্তা করি না। দলের লক্ষ্য যদি অর্জন হয়, ওটাতেই অনেক খুশি।“
চলতি বছর টি-টুয়েন্টিতে খুব একটা ছন্দে নেই বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের অবস্থা যাচ্ছে তাই। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও সিরিজ হারে তারা। তবে বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার প্রত্যাশা নিয়েই দল নিজেদের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে বলেন জানিয়ে ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, “সুযোগ তো সব সময়ই থাকে। চেষ্টায়ও আমাদের কোনো কমতি থাকে না। ইনশা আল্লাহ, হয়তো এবার আমরা ভালো কিছু করব।”
বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযানের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে আছেন মাহমুদউল্লাহ। ২০০৭ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২১ পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের প্রথম সাতটি আসরেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করেন। তবে ফর্মহীনতায় বাদ পড়েন অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের আসরের দল থেকে। দলে জায়গা পেয়ে কিছুটা হতাশায় ছিলেন বলেও জানান তিনি।
“২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যখন আমি ছিলাম না, খারাপ লেগেছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল, দলে হয়তো থাকতে পারতাম। কিন্তু হয়নি এবং ওটার জন্য আমার কোনো কষ্টও নেই। আমি সব সময়ই আলহামদুলিল্লাহ, যেটা বলি দলের জন্য যতটুকুই আমি করতে পারি, সেটা আমার উপস্থিতি দিয়ে হোক, পারফরম্যান্স দিয়ে হোক, আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে হোক, আমি আমার সর্বোচ্চটাই সব সময় নিংড়ে দিই।”
১৯৯৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরে অংশ নিলেও এখন পর্যন্ত শিরোপা মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। সেরা সাফল্য ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল। তবে শিরোপা জয়ের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ভাগ্যের সহায়তাও দরকার বলে মনে করেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
“ট্রফি জিততে আমার মনে হয় ভাগ্যেরও একটু সহায়তা লাগে। আমরা কয়েকটি মেগা ইভেন্টে হয়তো খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পারিনি। এখন আরেকটি সুযোগ সামনে। সমর্থন আছে ইনশা আল্লাহ। যা যা করা সম্ভব আমরা করব।”
মন্তব্য করুন: