টি-টুয়েন্টির বিশ্ব মঞ্চে ইংল্যান্ডের ইউরোপ ভীতি
৫ জুন ২০২৪
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দলগুলোর একটি ইংল্যান্ড। এরই মধ্যে জিতে নিয়েছে দুটি শিরোপা। আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও জস বাটলারের দল। তবে টি-টুয়েন্টির এই বৈশ্বিক আসরে ইউরোপের কোনো দলের মুখোমুখি হলেই যেন খেই হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। এখন পর্যন্ত ইউরোপের তিনটি দলের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ খেলেও তারা জয়ের দেখা পায়নি।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ইউরোপের তিনটি দল – নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড। দলগুলোর বিপক্ষে ৫টি ম্যাচও খেলে ফেলেছে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, শক্তিমত্তায় পিছিয়ে থাকা এই দলগুলোর কাছে তারা হেরেছে ৩টিতে। বৃষ্টির বাধায় বাকি দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, যার সবশেষ সংযোজন গত মঙ্গলবার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি।
টি-টুয়েন্টির বিশ্ব আসরে ঘরের মাঠে ২০০৯ সালের আসরে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। ডাচরা সেবারই প্রথম টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পায়। লর্ডসে আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ফেবারিট হয়েই মাঠে নামে পল কলিংউডের দল। রবি বোপারা ও লুক রাইটের ১০২ রানের উদ্বোধনী জুটির ওপর ভর করে ১৬২ রানের সংগ্রহ পায় ইংলিশরা। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ বলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নেদারল্যান্ডস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে পরের আসরে আয়ারল্যান্ডের নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২০ রানের বেশি তুলতে পারেনি সেবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। আয়ারল্যান্ড ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বৃষ্টি নামলে খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। ফলে আরও একটি বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পায় ইংলিশরা।
২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আবারও ডাচদের মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড। চট্টগ্রামে সুপার টেনের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ১৩৩ রানে আটকে রাখে স্টুয়ার্ড ব্রডের দল। কিন্তু ছোট লক্ষ্য তাড়া করে ঘরের মাঠে হারের প্রতিশোধ নিতে ব্যর্থ হয় তারা। ডাচদের বোলিং তোপে মাত্র ৮৮ রানেই গুটিয়ে যায় অ্যালেক্স হেইলস, মঈন আলি, ওয়েইন মরগ্যান ও জস বাটলারদের নিয়ে গড়া ইংলিশ ব্যাটিং লাইন-আপ। ম্যাচ হারে ৪৫ রানে।
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত গত আসরে আইরিশদের কাছে পরাস্ত হয় টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। মেলবোর্নের বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাট করে অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নির ৬২ রানের সুবাদে ১৫৭ রানের সংগ্রহ পায় আয়ারল্যান্ড। জবাবে জশ লিটলের পেস তোপে দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংলিশরা। তবে দাভিদ মালান ও মঈনের ব্যাটে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় তারা। কিন্তু ১৪ ওভার ৩ বলে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ যখন ৫ উইকেটে ১০৫, তখন বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টি আইনে বাটলারের দল সে সময় ৫ রানে পিছিয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত একটি বলও আর মাঠে না গড়ালে ৫ রানের জয় পায় আয়ারল্যান্ড।
ইউরোপের দলগুলোর বিপক্ষে বিশ্বকাপে জয়ের খরা কাটাতে বুধবার স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড। কিন্তু এ দিনও শেষ হাসি হাসে বৃষ্টি। বার্বাডোজে নির্ধারিত সময়ের পরে শুরু হওয়া ম্যাচটি বেশ কয়েকবার বৃষ্টির বাগড়ায় বন্ধ হয়। এরপর বৃষ্টি থামলে ম্যাচের পরিধি ১০ ওভারে কমিয়ে আনা হয়। কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কটিশরা ৯০ রানের সংগ্রহ পায়। বৃষ্টি আইনে ইংলিশদের পরিবর্তিত টার্গেট দাঁড়ায় ১০৯ রান। তবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগে আবারও বৃষ্টি নামলে ম্যাচ পরিত্যক্ত করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা।
মন্তব্য করুন: