নিউ ইয়র্কের পিচ নিয়ে সমালোচনায় সাবেকরা

নিউ ইয়র্কের পিচ নিয়ে সমালোচনায় সাবেকরা

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য মাত্র পাঁচ মাসে তৈরি করা হয়েছে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তবে সমর্থক থেকে শুরু করে সাবেকদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ ভেন্যুর আউটফিল্ড ও পিচ। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচের দিকে তাকালে এর যথাযথ কারণও পাওয়া যাবে। দুই ম্যাচেই আগে ব্যাট করা দল অল-আউট হয়েছে একশ রানেরও নিচে। পিচের অসম বাউন্স আর মন্থর আউটফিল্ডের কারণে ব্যাটারদের রান তোলার জন্য রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়েছে। আর তাই সাবেকরা এই মাঠকে খেলার উপযোগী মনে করছেন না।

গত সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের। সেদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে এই ফরম্যাটে নিজেদের সর্বনিম্ন ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেশ সংগ্রাম করতে হয় প্রোটিয়াদেরও। ম্যাচ জিততে তাদের খেলতে হয় ১৭তম ওভার পর্যন্ত।

অন্যদিকে বুধবার এই মাঠের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করা কঠিন ছিল আয়ারল্যান্ডের ব্যাটারদের জন্যও। উইকেটে পেসারদের জন্য অনেক সহায়তা থাকলেও অসমান বাউন্সে ব্যাটারদের ভুগতে হয়েছে বেশ। জশ লিটলের বলে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা তো ডান বাহুতে আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট মাঠ ছাড়েন।

এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে আইরিশরা। ৫০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে টি-টুয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন সংগ্রহের (৬৮) রেকর্ড ভাঙার শঙ্কায় পড়ে তারা। তবে শেষ পর্যন্ত ১৬ ওভারে ৯৬ রানে অল-আউট হয় তারা। ভারত ম্যাচ জেতে ৮ উইকেটে।

আয়ারল্যান্ডের ইনিংস চলার সময়েই পাকিস্তানের সাবেক কোচ মিকি আর্থার অনলাইনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লেখেন, “নিউ ইয়র্কের এই পিচ খুবই বাজে!”

সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভনও নিউ ইয়র্কের পিচের সমালোচনা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা দারুণ ব্যাপার… বিষয়টি ভালো লাগে… তবে খেলোয়াড়দের নিউ ইয়র্কের এই নিম্নমানের উইকেটে খেলতে হবে, তা অগ্রহণযোগ্য।”

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠানের কণ্ঠেও ছিল একই সুর। ম্যাচ শেষ স্টার স্পোর্টসের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “দেখুন আমরা সবাই চাই যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে। তবে এই পিচ খেলোয়াড়দের জন্য নিরাপদ নয়। ভারতে যদি এরকম পিচ থাকত তাহলে এখানে দীর্ঘদিন কোনো ম্যাচই হতো না। এই পিচ একদমই ভালো না। আমরা এখানে বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলছি। কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজও না।”

নাসাউ কাউন্টির এই স্টেডিয়ামে এখনও বাকি আছে ছয়টি ম্যাচ। আগামী সোমবার এখানেই দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগের দিন এই মাঠে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচও হবে।

মন্তব্য করুন: