বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পিচ ঠিক করছে আইসিসি
৭ জুন ২০২৪
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কিন্তু আসর শুরুর পর থেকেই ভেন্যুর পিচ ও আউটফিল্ড নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। মাঠে খেলা ক্রিকেটার, সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক, সবার কাছেই একদম বাজে আখ্যা পেয়েছে এই ভেন্যুর পিচ। এবার তা মেনে নিয়েছে আইসিসিও।
এবারের বিশ্বকাপ উপলক্ষে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টিতে মাত্র পাঁচ মাসে স্টেডিয়াম তৈরি করে আইসিসি। বাংলাদেশের একটিসহ গ্রুপ পর্বের মোট আটটি ম্যাচ এই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রথম দুই ম্যাচের একটিতেও কোনো দল একশ রানও করতে পারেনি। পিচের আসম বাউন্স ও মন্থর আউটফিল্ডের কারণে রান তুলতে ব্যাটারদের রীতিমত সংগ্রাম করতে হয়েছে।
প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা, যা টি-টুয়েন্টিতে দলটির সর্বনিম্ন। সেটি তাড়া করতে প্রোটিয়াদের খেলতে হয় ১৬ ওভার ২ বল। ম্যাচটি খেলা হয় মাঠের এক নম্বর পিচে।
এরপর চার নম্বর পিচে দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৯৬ রানে অল-আউট হয় আয়ারল্যান্ড। ম্যাচের একপর্যায়ে ৫০ রানে ৮ উইকেট হারায় আইরিশরা। ভারত ম্যাচ জেতে ১২ ওভার ২ বলে। ওই ম্যাচে হাতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রোহিত শর্মাকে। এছাড়াও আসম বাউন্সে আঘাত পান রিশাভ পান্ত ও হ্যারি ট্যাক্টর।
মূলত এই ম্যাচের পরেই আরও জোরাল হয় ভেন্যুর পিচ নিয়ে আলোচনা। বিশেষজ্ঞরা নাসাউ কাউন্টির পিচকে ‘খুব বাজে’ এবং ‘ভয়ঙ্করের কাছাকাছি’ বলেও রায় দেন।
শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে পিচ নিয়ে নিজেদের প্রত্যাশা মতো না হওয়ার কথা জানায় আইসিসি। বিশ্বমানের মাঠকর্মী নিয়ে পিচ উন্নয়নের কাজ হচ্ছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত পিচগুলো আমাদের প্রত্যাশানুযায়ী আচরণ করেনি।”
“বিশ্বমানের মাঠকর্মীর দল গতকালের (বুধবার) ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকেই সমাধানের জন্য কাজ করছে। বাকি ম্যাচগুলোতে সম্ভাব্য সেরা উইকেট দেওয়ার চেষ্টা করবে তারা।”
আগামী সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগের দিন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটিও হবে এখানে। ম্যাচ দুটির জন্য আলাদা দুটি পিচ তৈরি করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন: