ম্যাচ কঠিন করে জিতল বাংলাদেশ
৮ জুন ২০২৪
বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে শ্রীলঙ্কাকে অল্প রানেই আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ কঠিন তুলেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। নাটকীয় ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে টাইগাররা।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সকালে ডালাসে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় শ্রীলঙ্কা। তবে মুস্তাফিজ রহমান আর রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে তাদের ১২৪ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। জবাবে শুরু থেকে উইকেট হারালেও লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের জয়ের পথেই ছিল। মাঝে খেই হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দৃঢ়তায় এক ওভার হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। তানজিদ হাসান তামিমও (৩) ফেরেন দ্রুত। অধিনায়ক শান্ত ধরে খেলার চেষ্টা করলেও দলকে হতাশ করে ফেরেন ৭ রানে।
হৃদয়কে নিয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরেন ফর্মে না থাকা লিটন। তবে হতাশ করেননি তিনি। দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে চতুর্থ উইকেটে হৃদয়ের সঙ্গে গড়েন ৬৩ রানের ম্যাচ বাঁচানো জুটি। অপর প্রান্তে আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে থাকা হৃদয়ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।
তবে এরপরই ঘটে ছন্দ পতন। লঙ্কান অধিনায়কের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে হৃদয় ফেরেন ২০ বলে ৪০ রান করে। ৩৮ বলে ৩৬ রান করা লিটনকেও একইভাবে সাজঘরের পথ দেখান হাসারাঙ্গা। মহীশ তিকশানার দুর্দান্ত ক্যাচে দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব আর হাসানও (৮)।
পরের ওভারে পরপর দুই বলে রিশাদ ও তাসকিন আহমেদের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন নুয়ান তুশারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৬ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা লঙ্কান ইনিংসের তৃতীয় ওভারে কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। ষষ্ঠ ওভারে নিজের করা প্রথম বলেই কামিন্দু মেন্ডিসকে তুলে নেন মুস্তাফিজ। চড়াও হয়ে খেলতে লঙ্কানরা পাওয়ারপ্লেতে তোলে ৫৩ রান।
তবে এরপরই লঙ্কানদের চেপে ধরতে শুরু করে বোলাররা। মুস্তাফিজের ওপর চড়াও হতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে সাজঘরে ফেরেন পাতুম নিসাঙ্কা। ১৫তম ওভারে ম্যাচের দৃশ্যপট পালটে দেন ম্যাচসেরা রিশাদ। প্রথম দুই বলে তুলে নেন চারিত আসালাঙ্কা (১৯) ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে (০)। নিজের পরের ওভারে তুলে নেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকেও (২১)। ৫৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের ইনিংস থামে ১২৪ রানে। মুস্তাফিজ ও রিশাদ নেন ৩টি করে উইকেট। তাসকিনের শিকার দুটি।
মন্তব্য করুন: