বুমরাহকে পুরো বিশ্বকাপে যেমন রূপে চান রোহিত

বুমরাহকে পুরো বিশ্বকাপে যেমন রূপে চান রোহিত

ভারত-পাকিস্তান মহারণের প্রায় পুরোটা সময় জুড়ে নিয়ন্ত্রণ ছিল বাবর আজমের দলের হাতে। কিন্তু বল হাতে এক ওভারে পুরো ম্যাচের মোড়ই ঘুরিয়ে দেন যশপ্রীত বুমরাহ। নিজের শেষ ওভারেও ছিলেন ভয়ংকর রূপে। সতীর্থের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়েছেন রোহিত শর্মা। একই সঙ্গে পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই ডানহাতি এই পেসারকে এমন চেহারায় দেখতে চেয়েছেন ভারত অধিনায়ক।

রোববার নিউ ইয়র্কে এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ১১৯ ররানের পুঁজি নিয়েও পাকিস্তানকে হারিয়ে ৬ রানের দারুণ জয় তুলে নেয় ভারত।

তবে রান তাড়ায় একটা সময় পর্যন্ত ম্যাচ ছিল পাকিস্তানেরই হাতে। শেষ ৬ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। ধীর ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলে মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু ১৫তম ওভারে আক্রমণে এসেই দৃশ্যপট পালটে দেন বুমরাহ। প্রথমে বলেই ভাঙেন ৩১ রান করা রিজওয়ানের স্ট্যাম্প। ওই ওভারে রান দেন মাত্র ৩।

শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ২১ রান, হাতে ৫ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন ইফতিখার আহমেদ ও ইমাদ ওয়াসিম। তবে দিনটা যে ছিল কেবল বুমরাহর। ১৯ তম ওভার করতে এসে দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্রেফ ৩ রান দিয়ে তুলে নেন ইফতিখারের উইকেট। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জেতেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

সতীর্থের এমন পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি রোহিত। তবে এই জয়ে শুধু বুমরাহ একা নয়, দলের বাকি বোলারদেরও কৃতিত্ব দেন ভারত অধিনায়ক। তাদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে টি-টুয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানের লক্ষ্য দিয়ে ম্যাচ জয়ের কীর্তি গড়ে ভারত। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেবার তারা ১৩৮ রান ডিফেন্ড করেছিল।

বড় টুর্নামেন্টে জয়ের জন্য বোলারদের এমন অবদান গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রোহিত বলেন, “অবশ্যই! এই ধরনের টুর্নামেন্টে এটাই দরকার। আমরা চাই সবাই এগিয়ে আসুক। এই ছোট ছোট অবদানগুলো অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। যে-ই বোলিং করেছে দলের জন্য অবদান রাখতে চেয়েছিল।”

বুমরাহ ভালো থেকে আরও ভালো হচ্ছে। আমরা তাকে বছরের পর বছর ধরে দেখেছি সে কী করতে পারে। আমি তাকে নিয়ে বেশি কথা বলব না। আমরা চাই বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত সে এমন মানসিকতার মধ্যে থাকুক। সে বল হাতে জিনিয়াস, আমরা সেটা জানি। তবে অন্যদেরও সাধুবাদ জানাই।”

মন্তব্য করুন: