রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১১৪ রান তাড়া করতে পারল না বাংলাদেশ

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১১৪ রান তাড়া করতে পারল না বাংলাদেশ

দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল্প রানে আটকে রেখে অর্ধেক কাজটা করে দিয়েছিল বোলাররা। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১১ রানের। পঞ্চম বলে কেশব মহারাজের করা ফুলটস ডেলিভারিকে সীমানা পার করা জন্য আকাশে তুলে মারলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু লং-অনের উপর দিয়ে তা ছক্কা হওয়ার আগেই লাফিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিলেন এইডেন মারক্রাম। শেষ বলে আরেকটি ফুলটসকে তাসকিন আহমেদ ছক্কা হাঁকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ৪ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশ।

সোমবার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বল হাতে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন। পাওয়াপ্লেতে তুলে নেন চার প্রোটিয়া ব্যাটারকে। তবে ডেভিড মিলার ও হাইনরিখ ক্লাসেনের ৭৯ রানের জুটিতে ১১৩ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৫০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জয়ের পথেই রাখেন তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু তাও যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই তানজিদ হাসান তামিমের (৯) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস দেখে শুনে পাওয়ারপ্লে শেষ করলেও এরপরেই বাধে বিপত্তি। সপ্তাম ওভারে মহরাজের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ৯ রান করা লিটন। পরের ওভারে ফেরেন সাকিব আল হাসানও (৩)। এক প্রান্ত আগলে রেখে অধিনায়ক শান্ত খেলতে থাকলেও ধরা পড়েন আনরিখ নর্কিয়ার বাউন্সারে। ফেরেনা ২৩ বলে ১৩ রান করে।

পঞ্চম উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যেতে থাকেন হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ১৮তম ওভারের প্রথম বলে এলবিডাব্লিউর শিকার হয়ে হৃদয় (৩৭) সাজঘরে ফিরলে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। এর আগের ওভারে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে মাহমুদউল্লাহকে এলবিডাব্লিউ দেওয়ায় লেগ-বাই থেকে ৪ রান বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ আউট হন ২০ রান করে।

এর আগে বল হাতে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন তানজিম। প্রথম ওভারেই তুলে নেন রিজা হেন্ড্রিকসের উইকেট। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ১৮ রান করা ডি ককের স্ট্যাম্প ভাঙেন তরুণ এই পেসার।

চতুর্থ ওভারে তাসকিনের গতির কাছে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন প্রোটিয়া অধিনায়ক মারক্রাম। পরের ওভারে আবারও আঘাত হানেন তানজিম। এবার ফেরান ট্রিস্টান স্টাবসকে। পঞ্চম উইকেটে প্রোটিয়াদের হাল ধরেন ক্লাসেন ও মিলার। তবে দশম ওভারের প্রথম বলে উইকেটের পেছনে লিটন মিলারের ক্যাচ ফেলায় শেষ পর্যন্ত এই জুটি থেকে আসে ৭৯ রান।

ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে তানজিম নেন ১৮ রানে ৩ উইকেট। তাসকিনের শিকার ১৯ রানে ২টি

মন্তব্য করুন: