আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় হৃদয়

আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় হৃদয়

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নাটকীয় ম্যাচে জয়ের ভালো অবস্থানে থেকেও হেরে গেছে বাংলাদেশ। পুরো বাংলাদেশ ইনিংসে আম্পায়ারের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এমনই এক সিদ্ধান্তের কারণে ৪ রান থেকে বঞ্চিত হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। শেষ পর্যন্ত দলও হেরেছে ওই ৪ রানেই। আর ম্যাচ শেষে কোনো রাখঢাক ছাড়াই আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তগুলোকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তাওহীদ হৃদয়।

সোমবার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশর ইনিংস থামে ১০৯ রানে।

১৭তম ওভারে ওটনিল বার্টমানের করা বল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পায়ের লেগে চলে যায় বাউন্ডারি পেরিয়ে। তবে প্রোটিয়াদের এলবিডব্লিউর আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন মাহমুদউল্লাহ। রিভিউয়ে দেখা যায়, বল চলে যেত লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে দিয়ে। তাই আম্পায়ারকে তার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়। তবে ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, মাঠের আম্পায়ার ব্যাটারকে এলবিডব্লিউ আউট দেওয়ার পর রিভিউতে থার্ড আম্পায়ার সে সিদ্ধান্ত বাতিল করলেও ওই বলে কোনো অতিরিক্ত রান (লেগ বাই বা বাই) দেওয়া হয় না। তাই এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত পাল্টালেও লেগ বাই হিসেবে ৪ রান পায়নি বাংলাদেশ।

ওই ৪ রান পেলে বাংলাদেশের দরকার হতো ২২ বলে ২২ রান। কিন্তু তা না হওয়ায় সমীকরণ থাকে ২২ বলে ২৬ রান। এরপর শেষ দিকের নাটকীয়তায় বাংলাদেশ ম্যাচও হারে ৪ রানে।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেও আম্পায়ারের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হৃদয় বলেন, “সত্যি বলতে, সেটি ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না। আঁটসাট ম্যাচে আমাদের জন্য ভালো কিছু ছিল না সেটি। আমার মতে… আম্পায়ার আউট দিয়েছেন, তবে আমাদের জন্য কঠিন ছিল। ওই চারটি রান পেলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হতে পারত। আর কিছু বলার নেই…।”

ক্রিকেটের এই নিয়মটা অন্যায্য কি না, এমসিসি ও আইসিসি ক্রিকেটের নিয়মটা পাল্টানোর কথা বিবেচনা করতে পারে কি না – এমন প্রশ্ন করা হলে তরুণ এই ব্যাটার জানান, জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে।

নিয়ম তো… আইসিসি কী করেছে, এটা তো আমার হাতে নেই। কিন্তু ওই সময় ওই চারটি রান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের জন্য। আমি মনে করি যে, আম্পায়ার কল দিয়েছেন, আম্পায়ার কল দিতেই পারে। ওরাও মানুষ, ভুল হতেই পারে। কিন্তু আরও দু-একটি ওয়াইড ছিল, যেগুলো ওয়াইড দেয়নি। এখানে এরকম ভেন্যুতে খেলা, যেখানে রান হচ্ছে না, লো-স্কোরিং ম্যাচ হচ্ছে, সেই জায়গায় একটি-দুটি রানও অনেক বড় ব্যাপার।”

তো আমি মনে করি, ওই চারটি রান বা দুটি ওয়াইড, খুব ক্লোজ কল ছিল। এমনকি আমার আউটও আম্পায়ার্স কল ছিল। আমার কাছে মনে হয়, এই জায়গাগুলোয় উন্নতির সুযোগ আছে। আইসিসি যে নিয়ম করেছে, এটায় তো আমাদের হাত নেই। আমার মনে হয়… যেটা হয়েছে, হয়ে গেছে।”

মন্তব্য করুন: