আবারও ফুলটস বলে দলকে ডোবালেন মাহমুদউল্লাহ

আবারও ফুলটস বলে দলকে ডোবালেন মাহমুদউল্লাহ

বিশ্বের যে কোনো উইকেটে যে কোনো ব্যাটারের জন্য ফুলটস হলো স্বপ্নের ডেলিভারি, আর বোলারের জন্য বিব্রতকর। সেই ফুলটস যদি ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আসে- তাহলে তো কথাই নেই। এক্ষেত্রে ১০ বারের মধ্যে হয়তো নয় বারই ছক্কা হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেন সব হিসাব উল্টে যায়। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সোমবার সেটাই করে দেখালেন মাহমুদউল্লাহ।

শেষ ওভারে দলের মহাগুরুত্বপূর্ণ সময়ে আসা ফুলটস বলে মাহমুদউল্লাহর ছক্কা মেরে আউট হওয়ার ঘটনা এটাই কিন্তু প্রথম নয়। এর আগেও বিশ্বকাপের মঞ্চে তিনি এই কাণ্ড করেছেন!

এখনও কোনো শিরোপা না জেতা বাংলাদেশের পুরুষ ক্রিকেটে অনেক কষ্টের স্মৃতিই আছে, সেগুলোর অন্যতম ২০১৬ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সুপার টেনের ম্যাচটি। সেই ম্যাচের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১ রান, যা পরবর্তীতে ৩ বলে ২ রানের সমীকরণ হয়ে ওঠে। উইকেটে দুই ভায়রা-ভাই মাহমুদউল্লাহ আর মুশফিক থাকতেও অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচটা হেরে যায় বাংলাদেশ। দুজনেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন।

পেস বোলিং অল-রাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া শেষ ওভারের পঞ্চম বলটি করেছিলেন ফুলটস। মুফতে এমন সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে সীমানায় ধরা পড়েন রবীন্দ্র জাদেজার হাতে। প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচটি অবিশ্বাস্যভাবে ১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। ৮ বছর পর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখা গেল চলতি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটিতে।

নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এবারও জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১১ রান। শেষ দুই বলে যা নেমে আসে ৬ রানে। ওভারের পঞ্চম বলে স্ট্রাইকিং প্রান্তে সেই মাহমুদউল্লাহ। এবং আবারও সেই ফুলটস বল। এবার ফুলটসটা কোনো পেসার করেননি, এটি এসেছে একজন বাঁহাতি স্পিনারের থেকে। কেশব মহারাজের করা বলটি মাহমুদউল্লাহ উড়িয়ে মারলেন। কিন্তু এবারও তিনি পারলেন না। ধরা পড়লেন লং অনে সীমানার কাছে। প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরে গেল ৪ রানে।

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশকে অনেক জয় এনে দিয়েছেন। বিপদে অনেকবার হাল ধরেছেন। কিন্তু এটাও স্বীকার করতে হবে, বাংলাদেশের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক হারের কারণও হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। একবার নয়, দুই বার নয়, বারবার! প্রোটিয়াদের কাছে হারের পর সাকিব আল হাসানের সমালোচনা করে বীরেন্দ্র শেবাগ বলেছেন, “অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বলেই যদি তাকে বিশ্বকাপে আনা হয়, তাহলে সেটা করে দেখাক”। সাকিবকে বলা এই কথাগুলো মাহমুদউল্লাহও শুনে দেখতে পারেন।

মন্তব্য করুন: