বিশ্বকাপে পুরনো কোহলিকে চান মাঞ্জরেকার

বিশ্বকাপে পুরনো কোহলিকে চান মাঞ্জরেকার

এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি বিরাট কোহলি। রোহিত শর্মার সঙ্গে ইনিংসের শুরু করলেও দুই ম্যাচেই ফিরেছেন এক অঙ্কের ঘরে। তবে দল হিসেবে ভারত ভালো করলেও তাদের মাথা ব্যথার নাম এখন এই তারকা ব্যাটারের ছন্দহীনতা। এমন অবস্থায় সঞ্জয় মাঞ্জরেকার পরামর্শ দিয়েছেন আগের কোহলিকে ফিরিয়ে আনার।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে কোহলির দলে থাকা না থাকা নিয়ে ভারতে বেশ আলোচনা হয়। সে সময় তার স্ট্রাইক-রেট ও স্পিনারদের বিপক্ষে দুর্বলতার কারণ দেখিয়ে এই ব্যাটারকে বিশ্বকাপ দলে না রাখার পক্ষে ছিল দেশটির বেশ কিছু সাবেক ক্রিকেটার।

তবে আইপিএলে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সব সমালোচনার জবাব দেন কোহলি। ১৫৪ দশমিক ৬৯ স্ট্রাইক-রেট ও ৬১ দশমিক ৭৫ গড়ে ৭৪১ রান করে হন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১৭ বছরের আইপিএল ক্যারিয়ারে এবারই সর্বোচ্চ স্ট্রাইক-রেট দিয়ে আসর শেষ করেন তিনি। স্পিনারদের বিপক্ষেও ছিলেন বেশ আগ্রাসী।

কিন্তু বিশ্বকাপে আসতেই যেন রান খরায় ভুগতে শুরু করেন ভারতের এই সাবেক অধিনায়ক। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ফেরেন ১ রানে। এরপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে এক বাউন্ডারিতে করেন ৪ রান। দুটি ম্যাচই ভারত খেলে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির মাঠে, যেখানে রান তুলতে ব্যাটারদের রীতিমত সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক অনুষ্ঠানে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার মাঞ্জরেকার জানান, নিউ ইয়র্কের পিচে ভারতের আগের কোহলিকেই বেশি দরকার। এরপর পিচের কন্ডিশন পরিবর্তন হলে আবারও তার আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলা উচিত।

বিরাট কোহলিকে নিয়ে সমস্যাটা হলো, গত দুই বছরে তার স্ট্রাইক-রেট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আর এবারের আইপিএলে সে নিজেকে পুরো বদলে ফেলেছে। তার স্ট্রাইক-রেট ১৫০ ছুঁয়েছে। যদিওবা অন্যদের সেটা ২০০ ছিল তবে সেটা ভিন্ন আলাপ। এই টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সে সম্ভবত সেই মানসিকতা নিয়েই এসেছে। কিন্তু পিচ বিবেচনায় আগের বিরাট কোহলি দলের জন্য অনেক ভালো হতো।”

তাই আমার মনে হয়, কারো কোহলিকে বলা উচিত যে, তার আগের রূপ ফিরিয়ে আনতে। এরপর আবার যখন ফ্ল্যাট পিচে খেলা হবে তখন সে রূপ বদলাতে।”

বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় নিউ ইয়র্কের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবে ভারত।

মন্তব্য করুন: