যুক্তরাষ্ট্রকে গুঁড়িয়ে সুপার এইটে ভারত

যুক্তরাষ্ট্রকে গুঁড়িয়ে সুপার এইটে ভারত

আর্শদ্বীপ সিংয়ের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অল্প রানেই আটকে রেখেছিল ভারত। তবে ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে দারুণ চাপে পড়েছিল তারা। সেখান থেকে সূর্যকুমার যাদবের দুর্দান্ত ফিফটিতে ৭ উইকেটের জয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে রোহিত শর্মার দল।

বুধবার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আর্শদ্বীপের বোলিং তোপে ৮ উইকেটে ১১০ রানের বেশি করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে পাওয়ারপ্লেতেই বিরাট কোহলি ও রোহিতের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। কিন্তু সূর্যকুমার ও শিভম দুবের ৬৭ রানের জুটিতে এই মাঠের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে ১০ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ২০০৭ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই জোড়া আঘান হানেন সৌরভ নেত্রাবকার। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই বাঁহাতি এই পেসার তুলে নেন কোহলির উইকেট। টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন এই তারকা ব্যাটার।

তৃতীয় ওভারে ভারতে শিবিরে আবারও আঘাত হানেন সৌরভ। এবার তার শিকার ৩ রান করা ভারত অধিনায়ক রোহিত। তবে তৃতীয় উইকেটে রিশাভ পান্ত ও সূর্যকুমারের জুটিতে ম্যাচে ফেরে ভারত। পান্ত ১৮ রান করে ফিরলে দুবেকে (৩১*) নিয়ে কোনো বিপদ ছাড়াই দলের জয় নিশ্চিত করেন সূর্যকুমার। ৪৯ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ডানহাতি এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে।

এর আগে ভারতকে দারুণ শুরু এনে দেন আর্শদ্বীপ। প্রথম ওভারেই তুলে নেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই ব্যাটারকে। শুরুর ধাক্কা সামাল দিতে তৃতীয় উইকেটে ধীরগতির জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামালদেন স্টিভেন টেইলর ও দারুণ ছন্দে থাকা অ্যারন জোন্স। বোলারদের তোপ সামলে পাওয়ারপ্লেতে যোগ করেন ১৮ রান।

অষ্টম ওভারে জোন্সকে (১১) ফিরিয়ে এই ২২ রানের এই জুটি ভাঙেন হার্দিক পান্ডিয়া। এরপর চতুর্থ উইকেটে নিতিশ কুমারকে নিয়ে ৩১ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন টেইলর। ২৩ করা বাঁহাতি এই ব্যাটারকে ফেরান অক্ষর প্যাটেল। দলীয় ৮১ রানে ভয়ংকর হয়ে উঠতে থাকা নিতিশকে (২৭) ভারতকে স্বস্তি দেন ম্যাচসেরা আর্শদ্বীপ।

লোয়ার মিডল-অর্ডার ব্যাটারদের ছোট ছোট ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১১০ থামে যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংস। আর্শদ্বীপের শিকার ৯ রানে ৪ উইকেট

মন্তব্য করুন: