৬ সপ্তাহেই মুছে যাবে বিশ্বকাপের নিউ ইয়র্ক ভেন্যু

৬ সপ্তাহেই মুছে যাবে বিশ্বকাপের নিউ ইয়র্ক ভেন্যু

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মাত্র ১০৬ দিনে নিউ ইয়র্কে আস্ত এক স্টেডিয়াম তৈরি করেছিল আইসিসি। এবার টুর্নামেন্ট শেষ না হতেই নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সেই স্টেডিয়াম ভাঙার কাজ শুরু করে দিয়েছে আয়োজকরা, যা আগামী ৬ সপ্তাহে আবার আগের খেলার মাঠের রূপে ফিরে যাবে।

বুধবার ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচ দিয়ে শেষ হয় বিশ্বকাপের নিউ ইয়র্ক পর্ব। যুক্তরাষ্ট্র পর্বের সবচেয়ে আটটি ম্যাচ এই অস্থায়ী মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। তাই সূচির ম্যাচ শেষ হতেই নাসাউ কাউন্টির আইজেনহাওয়ার পার্ককে আগের রূপে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করে আইসিসি।

বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গত ফেব্রুয়ারিতে ক্রিকেট বিশ্বের সর্বপ্রথম মডিউলার বা অস্থায়ী স্টেডিয়ামের কাজ শুরু করা হয়। স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি এই স্থাপনায় ৩৪ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়, যা এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি দর্শক ধারণ ক্ষমতার ভেন্যু। বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ ছাড়াও এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান মহারণও।

স্টেডিয়াম ভাঙা হলেও এর জন্য তৈরি করা ড্রপ-ইন পিচগুলোর কী হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ চাইলে তা তাদের দিয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে ক্রিকবাজকে আইসিসির এক প্রতিনিধি বলেন, “তারা চাইলে এটি (উইকেট) নিজেদের তত্ত্বাবধানে রেখে প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে।”

তবে কর্তৃপক্ষ নিতে না চাইলে পিচগুলো অনত্র সরানোর ব্যবস্থা করবে আইসিসি। এই ভেন্যুর জন্য অ্যাডিলেইড ক্রিকেট গ্রাউন্ডের প্রধান কিউরেটরের তত্ত্ববধানে ফ্লোরিডায় ড্রপ-ইন পিচগুলো তৈরি করা হয়, যা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। পিচের অসম বাউন্স ও গতির কারণে আটটি ম্যাচেই ব্যাটারদের রান তুলতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়। তৃতীয় ম্যাচে এসে কোনো দল প্রথমবারের মতো একশ রানের মুখ দেখে। সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কানাডার ৭ উইকেটে ১৩৭ রান।

মন্তব্য করুন: