চাপের মুখেও শান্ত থেকে সাফল্য রিশাদের

চাপের মুখেও শান্ত থেকে সাফল্য রিশাদের

বেদম মার খেয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বোলিং শুরু করেছিলেন রিশাদ হোসেন। প্রথম ওভারেই দেন ১৪ রান। পরের ওভারেই ঘুরে দাঁড়িয়ে দেন মাত্র ৫ রান। শেষ দুই ওভারে ডাচদের ব্যাটিং অর্ডার গুঁড়িয়ে বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রাখেন এই লেগ স্পিনার। ম্যাচ শেষে তিনি জানান, নিজেকে শান্ত রাখায় দারুণ এই পারফর্ম করেছেন।

১৪তম ওভার শেষে জয়ের জন্য ডাচদের দরকার ছিল ৫৬ রান। হাতে ৭ উইকেট। সেই মুহূর্তে রিশাদ এসে তুলে নেন এঙ্গেলব্রেখট ও বাস ডি লিডিকে। এতেই ঘুরে যায় ম্যাচের ভাগ্য। নিজের কোটার শেষ ওভার করতে এসে রিশাদ আউট করেন ফন বিককে। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে রিশাদের শিকার ৩ উইকেট। যদিও ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে সাকিব আল হাসানের হাতেই।

ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রিশাদ বলেন, “সব জয়ের মধ্যেই ভালো লাগা কাজ করে। অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। সবার শরীরী ভাষা, সবার যে চেষ্টা ছিল, সেটা অনেক ভালো লেগেছে। ইনশা আল্লাহ চেষ্টা করব আরও কীভাবে উন্নতি করা যায়।”

ম্যাচে শুরুতে খরুচে থাকলেও ঘুরে কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সেটাও জানালেন রিশাদ, “নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। ভেবেছি, এখান থেকে একটা-দুইটা উইকেট নিলে খেলাটা আবার আমাদের দিকে চলে আসবে। আমি এটা করার চেষ্টা করেছি।”

রিশাদের ওপর প্রতি ম্যাচেই আস্থা রাখছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। যখনই উইকেট নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে, তখনই রিশাদকে তিনি বোলিংয়ে আনছেন। তাই অধিনায়কের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রিশাদ।

“শান্ত ভাই আমাকে বলেছেন, ‘তুই পারবি, চেষ্টা কর, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা’। যখনই বোলিংয়ে আসি, চিন্তা করি দলকে কী দেওয়া যায়। উইকেট দিয়ে হোক কিংবা ডট বল দিয়ে হোক; চেষ্টা করেছি শুধু। বাকিটা আল্লাহ দিয়েছেন।”

মন্তব্য করুন: