বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাকিস্তানের সাবেকরা
১৪ জুন ২০২৪
দীর্ঘ রান খরা কাটিয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ছন্দে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে দেশসেরা ক্রিকেটারের দুর্দান্ত ফিফটির পর রিশাদ হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং নৈপুণ্যে ডাচদের হারিয়ে সুপার এইটের আরও কাছে পৌঁছে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দলের এমন পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে পাকিস্তানের সাবেক দুই অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক ও শোয়েব মালিকেরও। প্রশংসায় ভাসিয়েছেন টাইগারদের।
বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে ১৯ ইনিংস পর ফিফটির দেখা পান সাকিব। টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাঁহাতি এই অল-রাউন্ডারের জ্বলে ওঠা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করেন মিসবাহ। একই সঙ্গে বল হাতে মুস্তাফিজ ও রিশাদের কার্যকারিতারও প্রশংসা করেন পাকিস্তানের এই সাবেক অধিনায়ক।
পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল হাম স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠান মিসবাহ বলেন, “সাকিব মনে হয় ১৭ বছর ধরে খেলছে। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলেছে। ওর আত্মবিশ্বাসের জন্য এটা (রান পাওয়া) দরকার ছিল, দলের জন্যও। খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ছিল। শুধু রানই করেনি, কর্তৃত্বও দেখিয়েছে। শুরুতেই উইকেট চলে গিয়েছিল, সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশকে ১৬০ রান করার মতো মঞ্চ গড়ে দিয়েছে।”
“মুস্তাফিজ দারুণ বোলিং করেছেন। বাংলাদেশের উইকেটের মতো উইকেট, ওর স্লোয়ার ব্যাটাররা বুঝতেই পারেনি। রিশাদও দুর্দান্ত বোলিং করেছে। সামনের ম্যাচ জিতে এরা যদি সুপার এইটে যায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজে তারা খুব কার্যকর হতে পারে। কন্ডিশনও তাদের জন্য মানানসই হবে।”
একই অনুষ্ঠানে শান্তর নেতৃত্বে নিজের মুগ্ধতার কথা জানান মালিক। পাকিস্তানের সাবেক এই অল-রাউন্ডারের মতে, সঠিক সময়ে শান্তর বোলিং পরিবর্তন দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।
“নেদারল্যান্ডসের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম ৫ ব্যাটারের সবাই শুরু পেয়েছে। আজকের ম্যাচে অধিনায়কত্ব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওদের বিক্রমজিত সাকিবের বলে দুটি ও রিশাদের বলে একটি ছক্কা মেরেছে। অধিনায়ক হিসেবে সে (শান্ত) তখন তৎপর ছিল। সঙ্গে সঙ্গে সে মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে নিয়ে আসে। কারণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে ডানহাতি স্পিনাররা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেটাই হয়েছে। মাহমুদউল্লাহ এসে উইকেট নিয়ে নেয়।”
মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা প্রশংসা করা মালিক বলেন, “তাদের বোলিং আক্রমণ দারুণ, বিশেষ করে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ কন্ডিশনে। যেখানে স্পিনারদের বড় ভূমিকা থাকে। বাংলাদেশের কাছে মুস্তাফিজ আছে। ওর স্লোয়ার বল যারা বেশি খেলেনি, তাদের জন্য বোঝাটা কঠিন। সেটাই দেখা গেছে ম্যাচে। নেদারল্যান্ডসের ব্যাটারদের জন্য স্লোয়ার কঠিন হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে মুস্তাফিজ ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১২ রান দিয়েছে, ১ উইকেট নিয়েছে।”
মন্তব্য করুন: