দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁপিয়ে দিয়ে হারল নেপাল
১৫ জুন ২০২৪
টানা তিন ম্যাচ জিতে আগেই সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শক্তিমত্তার বিচারেও নেপালের চেয়ে বেশ এগিয়ে থেকেই মাঠে নেমেছিল প্রোটিয়ারা। তবে মাঠের লড়াইয়ে যেন দেখা গেল এক ভিন্ন চিত্রের। পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল নেপালই। কিন্তু শেষ দিকের নাটকীয়তায় ১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে বেশ স্বস্তিতেই নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় আগামী সোমবার ভোর সাড়ে ৬ টায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ। নেপাল এই ম্যাচে জিতে গেলে বাংলাদেশ ওই ম্যাচে হারলে সুপার এইটে উঠতে পারত না। এখন নেপালের কাছে হারলেও পরের রাউন্ডে ওঠার ভালো সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে কিংসটাউনে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুই পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এরপরই ঘটে ছন্দপতন। নেপালের স্পিনারদের তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়াদের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১১৫ রানে।
জবাবে একটা সময় পর্যন্ত জয়ের পথেই ছিল নেপাল। তবে শেষ দিকের নাটকীয়তায় ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় হিমালয়ের দেশটি। শেষ ১৫ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে তাদের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১১৪ রানে।
ইতিহাস গড়া জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ১৮ রান দরকার ছিল নেপালের। তবে তাব্রাইজ শামসির জোড়া আঘাতে সেই সমীকরণ আরও কঠিন হয়ে যায়। ওভারের শেষ বলে ৪২ রান করা আসিফ শেখ ফিরলে জয়ের আশা ক্ষীণ হতে শুরু করে। পরের ওভারে প্রথম বলেই কুশল মাল্লার স্ট্যাম্প ভাঙেন আনরিখ নর্কিয়া। কিন্তু ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন সোমপাল কামি।
ওটনিল বার্টমানের করা শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ৮ রানের। তবে শেষ দুই বলে ২ রান নিতে পারায় ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নেপালকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ১২তম ওভারে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করে। দলীয় ৬৮ রানে অধিনায়ক মারক্রামকে (১৫) কুশল ভুরতেল। এই স্পিনারের পরের ওভারেই ফেরেন হাইনরিখ ক্লাসেনও। এক প্রান্ত আগলে রেখে ৪৩ রান করা রিজা হেন্ড্রিকসকে ফেরান দিপেন্দ্র সিং আইরি। ডেভিড মিলারও ফেরেন ৭ রান করে।
শেষ পর্যন্ত ট্রিস্টান স্টাবসের ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় প্রোটিয়ারা। ভুরতেল নেন ৪ উইকেট। আইরির শিকার ৩টি। এই ম্যাচ দিয়ে দলে ফেরা সন্দ্বিপ লামিচানের কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন ১৮ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু পায় নেপালও উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৩৫ রান। তবে অষ্টম ওভারে শামসির জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে আসিফ ও অনিল শাহর ৫০ রানের জুটিতে ম্যাচ নিজেদের দিকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পায়নি।
[বিস্তারিত তথ্য পর্বরতীতে সংযোজন করা হয়েছে]
মন্তব্য করুন: