দুঃস্বপ্নের ব্যাটিংয়ের পর জেতালেন তানজিম-মুস্তাফিজ

দুঃস্বপ্নের ব্যাটিংয়ের পর জেতালেন তানজিম-মুস্তাফিজ

সব শঙ্কা আর সমীকরণের অবসান ঘটিয়ে কারও ওপর নির্ভর না করে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত করে ফেলল বাংলাদেশ। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর নেপালের বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছে ২১ রানে। বিধ্বংসী বোলিংয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক তানজিম হাসান সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশের দেওয়া ১০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ৯ রানে দুই উইকেট হারায় নেপাল। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে কুশল ভুরতেলকে (৪) বোল্ড করে দেন তানজিম সাকিব। এক বল পরেই নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হন তিনে নামা অনিল শাহ (০)। সেই তানজিমের বলেই দ্রুত ফিরে যান অধিনায়ক রোহিত পৌডেল (১) এবং সন্দ্বীপ জোরা (১)। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আসিফ শেখ (১৭) ক্যাচ দেন সাকিব আল হাসানের হাতে। ২৬ রানে নেই ৫ উইকেট! ৪ ওভার বল করে ২ মেডেনসহ মাত্র ৭ রান দিয়ে তানজিমের শিকার ৪ উইকেট। এরপরই প্রতিরোধ গড়েন কুসল মাল্লা আর দিপ্রেন্দ্র সিং।

ত্রয়োদশ ওভারে নেপালের স্কোর পঞ্চাশ স্পর্শ করে। ক্রমেই হুমকি হয়ে উঠতে থাকে এই জুটি। শেষ ৫ ওভারে প্রয়োজন হয় ৪২ রানের। ১৬তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ দেন ১২ রান। ১৭তম ওভার করতে এসে ৫৮ বলে ৫২ রানের এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ। মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ ক্যাচে পরিণত হন ৪০ বলে ২৭ রান করা কুসল মাল্লা। এরপর গুলশান ঝাকে (০) ফেরান তাসকিন। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন হয় ২২ রানের। ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান কোন রান দেননি। উপরন্তু শেষ বলে তুলে নেন দীপেন্দ্র সিং আইরির (২৫) উইকেট।

নেপালের জয়ের আশা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। শেষ ওভার করতে এসে প্রথম বলেই লিটনের স্টাম্পিংয়ে সোমপাল কামিকে (০) ফেরান সাকিব আল হাসান। চলতি বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলে এটাই তার প্রথম উইকেট। পরের বলে অবিনাশ বোহারাকে (০) এলবিডাব্লিউ করে নেপালকে গুটিয়ে দেন ৮৫ রানে। ২১ রানের জয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। তানজিমের ৪ উইকেটের পাশাপাশি মুস্তাফিজুর নিয়েছেন ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট। সাকিব ৯ রানে নিয়েছেন দুটি।

এর আগে সেন্ট ভিনসেন্টে সোমবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৩ ওভারে ১০৬ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই তানজিদ হাসান তামিমকে (০) কট অ্যান্ড বোল্ড করেন সোমপাল কামি। পরের ওভারে বোল্ড হয়ে যান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৪)। অপর ওপেনার লিটন দাস ১২ বলে ১০ রান করে সোমপালের দ্বিতীয় শিকার হন। ২২ বলে ১৭ রান করা সাকিব আল হাসানকে শিকার করেন রোহিত পাউরেল। হুড়মুড় করে ধসে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। তাওহীদ হৃদয় (৯), মাহমুদউল্লাহ (১৩) রানে আউট হন।

নেপালের রহস্য স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে তুলে নেন জাকের আলী (৩) আর তানজিম সাকিবের (৩) উইকেট। দুজনকেই তিনি বোল্ড করে দেন। ৭৫ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাঝে ৪৪ বল কোনো বাউন্ডারিই আসেনি। নয় নম্বরে নেমে সেই বৃত্ত ভাঙেন রিশাদ হোসেন। এক চার এক ছক্কায় করেন ৭ বলে ১৩ রান। নবম উইকেটের পতন হয় ৮৮ রানে। শেষ উইকেটে তাসকিন (১২*) আর মুস্তাফিজ (৩) মিলে দলের স্কোরকে তিন অংকে নিয়ে যান। নেপালের চার বোলার দুটি করে উইকেট পেয়েছেন।

মন্তব্য করুন: