বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর জয়ে যত রেকর্ড

বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর জয়ে যত রেকর্ড

গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচে তিন জয়, আরেকটি জয়ও হাতছাড়া হয়েছে অল্পের জন্য। এতেই টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড হয়ে গেছে। সুপার এইটে নাজমুল হোসেন শান্তরা এই রেকর্ডের পরিধি আর বাড়াতে পারবেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে। তবে নেপালের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ম্যাচটিতেই অনেকগুলো রেকর্ড হয়ে গেছে।

নেপালের বিপক্ষে ১০৬ রান করে জিতেছে বাংলাদেশ। ছেলেদের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে আইসিসির কোনো পূর্ণ সদস্য দলের পুরো ২০ ওভারের ম্যাচে এত কম রান করে জয়ের রেকর্ড এটাই। এর আগে গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১১৩ রান করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

সব মিলিয়ে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এর চেয়ে কম রান করে জয়ের ঘটনা আছে মাত্র দুটি। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ১০৬ আর ২০১৪ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৯৬ রান।

নেপালের বিপক্ষে সোমবারের ম্যাচটিতে তানজিম সাকিব মোট ২১টি ডট বল দিয়েছেন। ছেলেদের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে একজন বোলারের এটাই সর্বোচ্চ ডট দেওয়ার রেকর্ড। এর আগে সর্বোচ্চ ২০টি ডট বল দিয়েছিলেন মোট নয় জন বোলার, এর সাতটিই আবার এই বিশ্বকাপে।

কিংসটাউনে এদিন বাংলাদেশ এবং নেপাল দুই দলই অল-আউট হয়েছে। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে এমন ঘটনা আগে ঘটেছে মাত্র দুইবার। ২০১০ সালে গ্রস আইলেটে অস্ট্রেলিয়া আর পাকিস্তান এবং ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে নিউ জিল্যান্ড আর শ্রীলঙ্কা উভয় দলই অল-আউট হয়।

নেপালকে ধসিয়ে দেওয়া তানজিম সাকিব আর মুস্তাফিজুর রহমান উভয়েই ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৭ রান দিয়েছেন। বাংলাদেশের ছেলেদের ক্রিকেটে ৪ ওভার বোলিং করে সবচেয়ে কম রান দেওয়ার যৌথ রেকর্ড এটি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হিউস্টনেও ৭ রান দিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন।

বাংলাদেশের দেওয়া ১০৭ রানের টার্গেট তাড়ায় নেমে ৮৫ রানে অল-আউট হয় নেপাল। টি-টুয়েন্টির ইতিহাসে পঞ্চাশোর্ধ জুটি গড়ার পর তৃতীয় সর্বনিম্ম স্কোর এটি। এর আগে ২০২১ সালে জার্মানির বিপক্ষে ৫৯ রানের জুটির পরও নরওয়ে ৭৬ রানে অল-আউট হয়েছিল। পরের বছর ঘানার বিপক্ষে ৫২ রানের একটি জুটি গড়ার পরও ঠিক ৭৬ রানেই অল-আউট হয়েছিল ক্যামেরুন। ২০২১ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়ে ১০১ রানে অল-আউট হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

নেপালের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ১০৬ রানে অল-আউট হয়েছিল বাংলাদেশ। ছেলেদের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসির কোনো সহযোগী সদস্যের বিপক্ষে কোনো পূর্ণ সদস্য দলের এটা দ্বিতীয় সর্বনিম্ম স্কোর। এর আগে ২০১৪ আসরে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮৮ রানে অল-আউট হয়েছিল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।

বাংলাদেশের ১০৬ রান টি-টুয়েন্টিতে আইসিসির সহযোগী সদস্য দলের বিপক্ষে পূর্ণ কোনো সদস্য দলের পঞ্চম সর্বনিম্ম দলীয় স্কোর। আর সহযোগী সদস্য দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের এর আগের সর্বনিম্ন রান ছিল ২০১৪ বিশ্বকাপে হংকংয়ের বিপক্ষে ১০৮ রান।

মন্তব্য করুন: