ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে সুপার এইট শুরু ইংল্যান্ডের

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে সুপার এইট শুরু ইংল্যান্ডের

ব্যাট হাতে ভালো শুরুই পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ইংল্যান্ডের বোলারদের শেষ দিকের দৃঢ়তায় ১৮০ রানের বেশি তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ইংলিশদের সামনে সেই লক্ষ্য বড় মনে হয়নি। ফিল সল্টের তাণ্ডবে ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপর আক্রমণের ছড়ি ঘোরাতে থাকে ইংল্যান্ড। জস বাটলারের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৭ রান যোগ করেন সল্ট। ইংলিশ অধিনায়ক ফেরেন ২৫ রানে। মঈন আলীও সাজঘরে ফেরেন দ্রুতই। এরপর ক্রিজে এসেই বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন বেয়ারস্টো। সল্টের সঙ্গে জুটির প্রথম ৫০ রানে একাই করেন ৪২ রান। শেষ পর্যন্ত ডানহাতি এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ২৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রানে।

ব্যক্তিগত ৭ রানে জীবন পাওয়া সল্ট রোমারিও শেফার্ডের ১৬তম ওভারে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৩০ রান তোলেন। ৪৭ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৮৭ রানে। ৩৮তম বলে ফিফটি হাঁকানো এই ব্যাটার পরের ৯ বলে তোলেন ৩৪ রান।

তৃতীয় উইকেটে সল্ট ও জনি বেয়ারস্টোর ৪৪ বলে ৯৭ রানের জুটিতে ১৫ হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংলিশরা।

সেন্ট লুসিয়ায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে টস হেরে ব্যাট করতে নামা ক্যারিবিয়ানদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ব্রান্ডন কিং ও জনসন চার্লস। তবে পঞ্চম ওভারের শুরুতে কিং আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়লে উদ্বোধনী জুটি থামে ৪০ রানে।

দ্বিতীয় উইকেটে নিকোলাস পুরানকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়ে রানের চাকা সচল রাখেন চার্লস (৩৮)। মঈনের বলে ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরলে ইংলিশদের ওপর রীতিমত ঝড় তোলেন রোভম্যান পাওয়েল। লিয়াম লিভিংস্টোনের ওভারে তিনটি ছক্কা হাঁকানোর পর আরেকটি ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। থামে ১৭ বলে ৫ ছক্কায় তার ৩৬ রানের ইনিংসটি।

১৫ ওভার শেষে ১৩৭ রান তোলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটাররা বড় সংগ্রহের দিকেই এগুচ্ছিল। কিন্তু পরপর দুই ওভারে পুরান (৩৬) ও আন্দ্রে রাসেলের (১) উইকেট তুলে নিয়ে রানের গতির লাগাম টেনে ধরে ইংল্যান্ড। তবে শেষ দিকে শারফেইন রাদারফোর্ডের ১৫ বলে ২৮ রানে ১৮০ পর্যন্ত গেলেও তা যথেষ্ট হয়নি।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]

মন্তব্য করুন: