সুপার এইটে জয় হবে বোনাস: হাথুরুসিংহে

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে মাঠের পারফরম্যান্সে খুব একটা ভালো অবস্থানে ছিল না বাংলাদেশ। তবে বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়ে সুপার এইটে পা রেখেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আর এখান থেকে দলের যা কিছু প্রাপ্তি হবে, তার সবকিছুই বাড়তি পাওনা হবে বলে জানিয়েছেন হেড কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে।

‘ডি’ গ্রুপে শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটের টিকিট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেও বোলাররা ছিল দুর্দান্ত। সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করতে সুপার এইটে পেরুতে হবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তান বাধা। ফলে কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিং হওয়ায় শিষ্যদের ওপর বাড়তি কোনো চাপ দিতে চান না হাথুরুসিংহে।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দেয় সুপার এইট অভিযান শুরু করবে টাইগাররা। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দলকে স্বাভাবিক খেলার দিকেই তাগিদ দিয়ে বাংলাদেশ কোচ বলেন, “আমরা যখন এই টুর্নামেন্ট খেলতে আসি, আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল সুপার এইট। তো আমি মনে করি সেটি আমরা অর্জন করতে পেরেছি। বোলাররা আমাদের খেলায় টিকিয়ে রেখেছে। কন্ডিশনের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছি এবং নিজেদের পক্ষে কন্ডিশন কাজে লাগাতে পেরেছি।”

“সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য বিষয়টা হলো, আমরা এখানে (সুপার এইটে) আসতে পেরে খুশি। আর এখান থেকে যা কিছু পাব তা আমাদের জন্য বোনাস। তাই আমরা এখন অনেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলব। তিন দলের প্রতিটিকেই যতটা সম্ভব চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেব।”

দলের সবারই নির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে জানিয়ে স্বাধীনতার বিষয়টি খোলাসা করে হাথুরুসিংহে বলেন, “আমরা এই খেলাটি শুরু করেছি কেন? উপভোগ করার জন্য। তাই উপভোগের সুযোগটি আমরা ক্রিকেটারদের থেকে ছিনিয়ে নিতে চাই না। তবে এর মানে এমন না যে, তাদের যা খুশি করার লাইসেন্স আছে। প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে দলের প্রতি।”

“অবশ্যই স্বাধীনতা আছে এবং দেশ, ক্লাব কিংবা এমনকি পার্ক ক্রিকেটে খেলার সময়ও উপভোগের বিষয়টি থাকবে। এজন্যই আমরা এই খেলাটি শুরু করেছি। তাই উপভোগের মন্ত্র সব সময়ই সামনে থাকবে। তবে সবারই দলের প্রতি কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে।”