মুস্তাফিজ-তানজিমদের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া

মুস্তাফিজ-তানজিমদের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া

বল হাতে এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে আছে বাংলাদেশের পেসাররা। গ্রুপ পর্বের প্রতি ম্যাচেই প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন-আপ গুঁড়িয়ে দিয়েছে তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে গড়া পেস আক্রমণ। এই বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই সুপার এইট অভিযান শুরুর অপেক্ষায় আছে অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক মিচেল মার্শও জানিয়েছেন, তার দল বাংলাদেশের পেস আক্রমণকে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশের পেস আক্রমণ এখন পর্যন্ত এবারের টুর্নামেন্টে অন্যতম সফল। গ্রুপ পর্বের ৪ ম্যাচে ৯ দশমিক ৯৫ গড়ে তাদের শিকার ২৩ উইকেট। ওভারপ্রতি খরচ কেবল ৪ দশমিক ৮৭ রান। পরিসংখ্যানের বিচারে সুপার এইটে ওঠা দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশের পেসাররাই।

বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে পেসারদের নিয়ে মার্শ বলেন, “দেখুন, তাদের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। কয়েকজন তরুণ আছে। আর তারা ভালো একটি দল। তারা সুপার এইটে এর একটা কারণ তো আছেই। এর ফলে আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি।“

পেসাররা অস্ট্রেলিয়ার টপ-অর্ডারকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মার্শ হাসতে হাসতে বলেন, “আশা করি, না।”

হ্যামস্ট্রিংয়ের লম্বা চোট কাটিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বোলিংয়ের ছাড়পত্র পেয়েছেন মার্শ। তবে দলের বোলিং আক্রমণ দুর্দান্ত ছন্দে থাকায় ডানহাতি এই পেসারের বল না করার সম্ভাবনাই বেশি। অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যাটাররাও খুব একটা ছন্দে নেই। টপ-অর্ডারদের ব্যর্থতা যেন নিয়মিত চিত্র।

এর আগে ২০২১ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় সারির অজি দলের বিপক্ষে সেবার ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। সেবার মূল দলের বেশ কিছু খেলোয়াড়দের না পাঠালেও এবারের বিশ্বকাপ দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যই সেই দলে ছিলেন। মার্শও ছিলেন সেই দলে।

সংবাদ সম্মেলনে মার্শকে বিষয়গুরো মনে করিয়ে দেওয়া হলে তিনি বলেন, “যারাই বিশ্বকাপের সুপার এইটে এসেছে, তারা নিশ্চিতভাবেই ভালো ক্রিকেট খেলছে। আর আমরা জানি, এমন কন্ডিশনে বাংলাদেশ শক্তিশালী একটি দল। তাই তাদের প্রতি আমাদের সম্মান আছে। আশা করছি আমরা নিজেদের সেরাটা বের করে আনতে পারব।”

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় অ্যান্টিগায় সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া।

মন্তব্য করুন: