কামিন্সের হ্যাটট্রিকের দিনে বাংলাদেশের মাঝারি স্কোর

কামিন্সের হ্যাটট্রিকের দিনে বাংলাদেশের মাঝারি স্কোর

শুরুতে উইকেট পতনের ধারা অব্যাহত থাকলেও লাগাম টেনেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর লিটন দাস। তাদের জুটি ভাঙার পর মিডল অর্ডারে হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। বাকিরা যথারীতি ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্দি হয়ে রইলেন। শেষের ব্যাটাররা কেউই অবদান রাখতে পারেননি। শান্তের দায়িত্বশীল ই্নিংস আর হৃদয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রান তুলল বাংলাদেশ।

অ্যান্টিগায় শুক্রবার বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের তৃতীয় বলেই বোল্ড হয়ে যান তানজিদ তামিম (০)। সবাই যখন আরও একটি ব্যাটিং ধসের আশংকা করছে, তখন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর লিটন দাস ৫৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন। অ্যাডাম জাম্পার করা নবম ওভারে ২৫ বলে ২ চারে ১৬ রান করা লিটন আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর একটি ছোট্ট ধস নামে।

চার নম্বরে প্রমোশন পাওয়া রিশাদ হোসেন (২) ব্যর্থ হন। ফিফটির কাছে গিয়েও ৩৬ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৪১ রানে জাম্পার দ্বিতীয় শিকার হন শান্ত। উইকেটে তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গী হন সাকিব। একপ্রান্তে হৃদয় যখন ঝড় তুললেন, তখন ৮ বলে ১০ রান করা সাকিবকে কট অ্যান্ড বোল্ড করলেন মার্কাস স্টয়নিস। এরপর অজি পেসার প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত এক স্পেলে ধসে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহকে (২) বোল্ড করেন কামিন্স। পরের বলেই গোল্ডেন ডাক প্রথমবার সুযোগ পাওয়া শেখ মাহেদির।

ফিফটির আশা জাগিয়েও পারেননি হৃদয়। শেষ ওভারের প্রথম বলে কামিন্সের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন ২৮ বলে ২ চার ২ ছক্কায় ৪০ রান করে। হৃদয়কে ফিরিয়ে দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করলেন কামিন্স, আগের হ্যাটট্রিক ছিল ব্রেট লির। সেটিও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই। শেষদিকে তাসকিন আহমেদের ৭ বলে ১৩ রানে ২০ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৮ উইকেটে ১৪০ রান। ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন প্যাট কামিন্স, জাম্পা নিয়েছেন ২টি। একটি করে নিয়েছেন স্টয়নিস আর ম্যাক্সওয়েল।

মন্তব্য করুন: