অল্প পুঁজিতে অস্ট্রেলিয়াকে আটকাতে পারল না বাংলাদেশ

অল্প পুঁজিতে অস্ট্রেলিয়াকে আটকাতে পারল না বাংলাদেশ

ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ঘুরেফিরে দেড়শ রানের বৃত্তেই বন্দি রইল বাংলাদেশের স্কোর। এই পুঁজি নিয়ে আর যাই হোক অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের সঙ্গে লড়াই করা যায় না। বাস্তবেও সেটাই হলো। বাংলাদেশের বিপক্ষে হেসেখেলে বৃষ্টি আইনে ২৮ রানের বড় জয় তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া। নাজমুলদের সুপার এইট শুরু হলো পরাজয় দিয়ে। সেইসঙ্গে রইল বাজে পারফর্ম্যান্সের আক্ষেপ।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৪১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সাবলীল শুরু করেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড আর ডেভিড ওয়ার্নার। মাঝে তানজিম সাকিবের বলে ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলেন হৃদয়। পাওয়ারপ্লেতে আসে ৫৯ রান। বিনা উইকেটে ৬৪ তুলতেই নামে বৃষ্টি। অবশ্য কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থামলে ওভার কর্তন ছাড়াই ফের খেলা শুরু হয়। স্কোরবোর্ডে আর ১ রান যোগ হতেই রিশাদের করা সপ্তম ওভারে বোল্ড হয়ে যান ২১ বলে ৩১ করা ট্রাভিস হেড।

ফিরতি ওভারে এসে অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শকে (১) এলবিডাব্লিউ করেন রিশাদ। এতে অবশ্য অজিদের রানের গতি কমেনি। ৩৪ বলে ফিফটি পূরণ করেন ওয়ার্নার। তার সঙ্গী হন ম্যাক্সওয়েল। দুজনের ব্যাটে দ্বাদশ ওভারে তিন অংকে যায় অজিদের স্কোর। এরপর আবার ভারী বর্ষণ শুরু হয়। ম্যাচ শুরু করার পরিস্থিতি না থাকায় ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে অস্ট্রেলিয়াকে ২৮ রানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ১১.২ ওভারে ২ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া তোলে ১০০। ওয়ার্নার ৩৫ বলে ৫৩ আর ম্যাক্সওয়েল ৬ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে অ্যান্টিগায় শুক্রবার বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রান তোলে বাংলাদেশ। মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের তৃতীয় বলেই বোল্ড হয়ে যান তানজিদ তামিম (০)। সবাই যখন আরও একটি ব্যাটিং ধসের আশংকা করছে, তখন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর লিটন দাস ৫৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন। অ্যাডাম জ্যাম্পার করা নবম ওভারে ২৫ বলে ২ চারে ১৬ রান করা লিটন আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

এরপর একটি ছোট্ট ধস নামে। চার নম্বরে উঠে আসা রিশাদ হোসেন (২) ব্যর্থ হন। ফিফটির কাছে গিয়েও ৩৬ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৪১ রানে জাম্পার দ্বিতীয় শিকার হন শান্ত। উইকেটে তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গী হন সাকিব। একপ্রান্তে হৃদয় যখন ঝড় তুললেন, তখন ৮ বলে ১০ রান করা সাকিবকে কট অ্যান্ড বোল্ড করলেন মার্কাস স্টয়নিস। এরপর অজি পেসার প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত এক স্পেলে ধসে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। 

১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহকে (২) বোল্ড করেন কামিন্স। পরের বলেই ‘গোল্ডেন ডাক’ প্রথমবার সুযোগ পাওয়া শেখ মাহেদির। ফিফটির আশা জাগিয়েও পারেননি হৃদয়। শেষ ওভারের প্রথম বলে কামিন্সের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন ২৮ বলে ২ চার ২ ছক্কায় ৪০ রান করে। হৃদয়কে ফিরিয়ে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন কামিন্স্। শেষদিকে তাসকিন আহমেদের ৭ বলে ১৩ রানে ২০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৪০। ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন প্যাট কামিন্স, জ্যাম্পা নিয়েছেন ২টি। একটি করে নিয়েছেন স্টয়নিস আর ম্যাক্সওয়েল।

মন্তব্য করুন:

Add