বিশ্বকাপে অন্যতম বাজে ওপেনিং বাংলাদেশের
২২ জুন ২০২৪
চলতি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাটারদের ছন্দহীনতার চেয়েও বাংলাদেশের বড় দুশ্চিন্তার নাম ওপেনিং। তিনটি ভিন্ন জুটি দিয়ে ইনিংসের শুরু করলেও সফলতা একদমই নেই। কোনো ম্যাচেই এখন পর্যন্ত উদ্বোধনী জুটি থেকে দুই অঙ্কের দেখা পায়নি দল। সর্বোচ্চ রান এসেছে মাত্র ৯। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের আগ পর্যন্ত ২০ দলের টুর্নামেন্টে ওপেনিংয়ে ব্যাটারদের গড়ের দিক দিয়ে তালিকার ১৭ নম্বরে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আর সুপার এইটের দলগুলোর মধ্যে সবার নিচে।
এখন পর্যন্ত চারজন ভিন্ন খেলোয়াড় দিয়ে ওপেনিং জুটি সাজিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়মিত ওপেনার লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার ছাড়াও দুই ম্যাচে ইনিংসের শুরু করেন অধিনায়ক শান্ত। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পাঁচ ম্যাচ শেষে ওপেনিং জুটি থেকে মোট রান এসেছে মাত্র ১৩। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক ম্যাচেই আসে ৯ রান। এই জুটিটি গড়েন তানজিদ ও শান্ত। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ রানের জুটিটিও আসে তাদের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের চেয়ে কেবল নীচে আছে উগান্ডা। চার ম্যাচে তাদের ওপেনিং জুটি থেকে এসেছে মোট ৫ রান।
পাঁচ ম্যাচেই দলের ওপেনিংয়ে ছিলেন তানজিদ। এর মধ্যে শূন্য রানে ওপেনিং জুটি ভেঙেছে দুইবার। নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের প্রথম বলে এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচের তৃতীয় বলে তানজিদ আউট হলে এই জুটি ভাঙে। দুই ম্যাচেই বাঁহাতি এই ব্যাটারের সঙ্গী ছিলেন লিটন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওপেনিংয়ে তানজিদের সঙ্গী ছিলেন সৌম্য। এই জুটি থেকে আসে ১ রান। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে সৌম্য ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলে এই জুটি ভাঙে।
শুধু যে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ব্যর্থ হচ্ছে তা কিন্তু নয়। আসর জুড়েই ব্যর্থ ওপেনাররাও। ৫ ম্যাচে দলের চার ওপেনার থেকে রান এসেছে কেবল ৮৮। গড় ৮.৮। সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংসটি আসে দুইবার ডাক মারা তানজিদের ব্যাট থেকে, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রানের ইনিংসটি খেলেন লিটন। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই ইনিংসটিকে টি-টুয়েন্টি সুলভ বলা যাবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহই আছে। মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্সদের সামনে একদমই অসহায় ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ১৬ রান করতেই ব্যয় করেন ২৫ বল, যেখানে চার আছে দুটি।
২০ দলের ওপেনারদের তালিকায় ওপেনিং ব্যাটারদের গড়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশের পরের অবস্থানে আছে কেবল পাপুয়া নিউ গিনি, আয়ারল্যান্ড ও উগান্ডা। সুপার এইটের দলগুলো বিবেচনায় তানজিম-লিটনদের উপরে আছে ভারত। সার্বিকভাবে ১৩ নম্বরে থাকা ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি পুরো টুর্নামেন্টে রান করেছেন ১০৫। তালিকার সবার ওপরে আছে ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্র্যাভিস হেডকে নিয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটি। এই দুই বাঁহাতি ব্যাটার করেছেন ৩৪৮ রান।
মন্তব্য করুন: