কোনোটাই পারল না বাংলাদেশ

কোনোটাই পারল না বাংলাদেশ

সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করতে আফগানিস্তানের দরকার ছিল কেবল জয়। আর বাংলাদেশকে ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হতো ১২ ওভার ১ বলে। সেই লক্ষ্যে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সেমি-ফাইনালের আশা ছেড়ে শুধু জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু সেটাও আর হলো না। বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকেও হতাশায় ডুবিয়ে ৮ রানের জয়ে প্রথমবারের মতো টি-টুয়েন্টি বিশ্বকপের সেমি-ফাইনালে উঠেছে আফগানরা।

সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালে একটা সময় পর্যন্ত সেমি-ফাইনালের দৌড়েই ছিল বাংলাদেশ। শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পরও দলকে সেই পথেই রাখেন লিটন। কিন্তু নুর হোসেনের দশম ওভারে একের পর এক ডট বল খেলে সব আশা শেষ করে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অবশ্য পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরে দলকে আরও বিপদে ফেলেন তিনি। পরের বলে রিশাদ হোসেনকে বোল্ডকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন রশিদ খান।

বেশ কয়েকবার বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধ হলে এক ওভার কমে ১৯ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১৪ রান। দলকে জেতাতে অপর প্রান্তে চেষ্টা চালিয়ে যান লিটন। কিন্তু বাকি ব্যাটারদের কেউই ডানহাতি এই ব্যাটারকে সঙ্গ দিতে না পারায় ৭ বল আগে ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। রানে ফেরা লিটন অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে।

বল হাতে ৪টি করে উইকেট নেন নাভিন-উল-হক ও রশিদ খান। তবে ম্যাচসেরার খেতাব জেতেন নাভিন।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারালেও শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম ৬ ওভারে ২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান জুটি। চতুর্থ ওভারে সাকিব এই জুটি ভাঙার সুযোগ তৈরি করলেও তাওহীদ হৃদয় জাদরানের ক্যাচ তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন।

পাওয়ারপ্লে শেষে হাত খুলে খেলতে শুরু করলেও তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি আফগান ওপেনাররা। ১১তম ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত ক্যাচে জাদরানকে (১৮) ফেরান রিশাদ হোসেন। পরের ওভারে মেডেন দিয়ে আফগানদের চাপ আরও বাড়িয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। ১৬তম ওভারে রান-আউটের সহজ সুযোগ মিস করলেও ওভারের শেষ বলে আজমতউল্লাহ ওমারজাইকে তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান।

পরের ওভারে জোড়া আঘাত হানেন রিশাদ। প্রথম বলে ৪৩ রান করা গুরবাজকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্ত্বি এনে দেন এই লেগ স্পিনার। তিন বল পর সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন গুলবাদিন নাইব। শেষ দিকে রশিদের তিন ছক্কায় ১১৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় আফগানরা।

মন্তব্য করুন: