দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন শান্ত
২৫ জুন ২০২৪
সেমি-ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা জাগালেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তা করতে পারেনি বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের দেওয়া ছোট লক্ষ্যও তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কাগজে কলমে এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ টাইগারদের সেরা আসর হলেও বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। বিষয়টি মেনে নিয়েছেন অধিনায়ক শান্তও। আসর শেষ করে দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালে সুপার এইটের শেষ ম্যাচে আফগানদের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২ ওভার ১ বলে তাড়া করতে পারলে সেমি-ফাইনালের টিকিট পেত বাংলাদেশ। তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তারা উল্টো ম্যাচ হেরে বসে ৮ রানে। বৃষ্টির কারণে পরিবর্তিত ১১৪ রানের টার্গেটে পৌঁছার ৭ বল আগেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা।
শুধু যে এই ম্যাচেই ব্যাটাররা হতাশ করেন তা কিন্তু নয়। পুরো টুর্নামেন্টেই হতশ্রী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখান শান্ত-লিটন-সাকিবরা। নেপালের সঙ্গে অল-আউট হয়েছে মাত্র ১০৬ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাড়া করতে পারেনি ১১৪ রান।
যে তিন ম্যাচ জিতে টাইগাররা সুপার এইটে উঠেছে তা কেবলই বোলারদের কল্যাণে। এ পর্বেও অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই ছন্নছাড়া ব্যাটিং করে বাংলাদেশ।
আফগান ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান শান্ত। বিশেষ করে ব্যাটারদের ব্যর্থতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“বিশ্বকাপের পুরো যাত্রা সম্পর্কে বলব, আমরা দল হিসেবে বাংলাদেশের সব সমর্থককে হতাশ করেছি। যারা আমাদের খেলা অনুসরণ করেন, সবসময় অনুসরণ করেন তাদের ‘লেট ডাউন’ করেছি। তো আমি দলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইছি ।”
“আমরা ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে দেশের মানুষকে ভালো কিছু দিতে পারিনি। এটার জন্য আমরা সরি। সামনের দিকে আমাদের এটাই চেষ্টা থাকবে, কীভাবে এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারি।”
হতাশার টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রাপ্তির কথা বলতে গেলে উঠে আসবে রিশাদ হোসেনের নাম। প্রথমবার কোনো আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে লেগ স্পিনার খেলানোর সুফল পেয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সাত ম্যাচে তরুণ এই লেগ স্পিনারের শিকার ১৪ উইকেট। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৭ দশমিক ৭৬ করে।
টুর্নামেন্ট থেকে প্রাপ্তির কথা জোর দিয়ে না বললেও রিশাদের প্রশংসা করে শান্ত বলেন, “ইতিবাচক দিক অবশ্যই বোলাররা... তারা সবাই খুবই ভালো বোলিং করেছে। রিশাদ এরকম একটা টুর্নামেন্টে এসে সবগুলা ম্যাচে ভালো বোলিং করেছে। তো বেশ কিছু ইতিবাচক দিকও ছিল।”
সবশেষে আরও একবার দলের ব্যাটিং নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে বাঁহাতি এই ব্যাটার বলেন, “তবে ব্যাটিং দিক থেকে আমরা সমর্থকদের হতাশ করেছি। দেশের মানুষকে আমরা বলতে গেলে কষ্ট দিয়েছি। তবে এটাও আমি বলতে চাই, চেষ্টার কমতি ছিল না। শতভাগ দিয়ে সবাই চেষ্টা করেছে। সবাই নিজের কাজে সৎ ছিল। তবে আমরা দিন শেষে আমরা পারিনি। তাই এটার জন্য দলের পক্ষ থেকে সরি।”
মন্তব্য করুন: