‘বোনাস’ পাওয়া হলো না হাথুরুসিংহের
২৫ জুন ২০২৪
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে বেশি প্রত্যাশা করতে বারণ করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহেও নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যের কথা বলেননি। তবে সুপার এইট নিশ্চিত হতেই তিনি সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেন, এই পর্বে পা রাখাই নাকি তাদের লক্ষ্য ছিল। সামনে যা হবে সবকিছুই ‘বোনাস’। তবে দল সেই অপ্রত্যাশিত বোনাসের দেখা পায়নি।
সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়া আর ভারতের কাছে বাংলাদেশ স্রেফ উড়ে গিয়েছিল। এরপরও আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সুযোগ ছিল। খুব কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে জিতে সেমি-ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল দল। বোলাররা সেই মঞ্চ খানিকটা তৈরি করে দেন। কিন্তু দলকে আবারও ডোবান ব্যাটাররাই। অধিনায়ক নাজমুল থেকে শুরু করে সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে এখন ক্রিকেট দুনিয়াতেই চলছে সমালোচনা।
ম্যাচ শেষে ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে নাজমুলের একটি বক্তব্য। তিন উইকেট হারানোর পর তারা নাকি সেমি-ফাইনালের আশা বাদ দিয়ে ম্যাচ জয়ের চিন্তা করছিলেন! বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে এমনও সম্ভব! এই সিদ্ধান্ত অবশ্য অধিনায়ক নাজমুলের একার নয়। প্রধান কোচসহ পুরো টিম ম্যানেজম্যান্টই এর সঙ্গে জড়িত। তাই বড় দায়টা চান্ডিকা হাথুরুসিংহের ওপরই আসে।
ক্রিকেটারদের প্রতি কোচ এবং টিম ম্যানেজম্যান্টের একটা পরিষ্কার নির্দেশনা ছিল। তারা হয়তো ভেবেছেন, সেমি-ফাইনালে ওঠার ঝুঁকি নিতে গিয়ে হেরে যাওয়ার চেয়ে আরেকটা ম্যাচ জিতলে ব্যর্থতা চাপা পড়ে যাবে। তবে বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় আর তা হলো না। হেড কোচের আর ‘বোনাস’ পাওয়া হলো না।
এমন হারের পর অধিনায়ক শান্ত জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে এখনও এ নিয়ে কথা বলেননি বিসিবির কেউ। তাই ঠিক বোঝা যাচ্ছে না, দেশে ফিরে হাথুরুসিংহে কোনো ‘বোনাস’ পেতে যাচ্ছেন কিনা। তবে খুব ব্যতিক্রমী কিছু না ঘটলে আর বিসিবি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফলকে সাফল্য হিসেবে দেখলে হেড কোচ হিসেবে তার টিকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
মন্তব্য করুন: