আফগানিস্তান দলকে যেভাবে বদলে দেন ট্রট

আফগানিস্তান দলকে যেভাবে বদলে দেন ট্রট

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠায় বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। যাদের দেশের মানুষের এখনও ঘুম ভাঙে গুলি-বোমার শব্দে, নেই কোনো জীবনের নিরাপত্তা, ক্রিকেটাররা দেশে থাকতে পারেন না- সেই দলটাই কীভাবে এমন পারফর্ম করে যাচ্ছে- তা অনেকের কাছেই বিস্ময়। আফগানদের এই অগ্রযাত্রার পেছনে বড় কারিগরের নাম জোনাথন ট্রট।

ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ট্রট ২০২২ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন। দুই বছরের মাঝেই দলটিকে তিনি বদলে দেন। ক্রিকেটারদের কাছে তিনি কত প্রিয়, সেটা বোঝা যায় বাংলাদেশকে সুপার এইটে হারিয়ে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করার পর। রশিদ-নবিরা তাকে কাঁধে তুলে নাচছিলেন। কিন্তু কী এমন পরিবর্তন এনেছেন ট্রট?

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে ট্রট শোনালেন সেই গল্প, “যখন দায়িত্ব নেই, এত প্রতিভা দেখে অবাক হয়েছিলাম। তবে সবকিছুর মধ্যে একটা অনভিজ্ঞতা ছিল। কীভাবে খেলবে, কীভাবে চিন্তা করবে… ইত্যাদি। তাছাড়া কোনো অবকাঠামো ছিল না। আমি শুধু তাদের মেধার সঙ্গে কিছু যোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কখনই কারও ডানা কাটার চেষ্টা করিনি।”

আফগানিস্তান দলটিকে দেখলেই বোঝা যায়, তারা দারুণভাবে ঐক্যবদ্ধ। বিশ্বমানের সব ক্রিকেটার আছে দলটিতে। কিন্তু মাত্র দুই বছরের মধ্যে এমন সাফল্য কীভাবে এলো? ট্রট জানালেন, দীর্ঘমেয়াদে যাতে দলটি ভালো করতে পারে সেভাবেই তিনি তাদের গড়ে তুলেছেন, “আমি তাদের অস্ত্রগুলোকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি, যেন তারা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে, ম্যাচ জিততে পারে এবং আরও দূরের লক্ষ্যে নজর রাখতে পারে।”

সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারিয়ে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান বলেছিলেন, ‘এ তো সবে শুরু’। কোচ ট্রটের কণ্ঠেও যেন রশিদের কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল, “সেমি-ফাইনালে জয় ছাড়া আমরা কিছু ভাবছি না। একাধিক বড় দলকে হারানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের। বড় ব্যবধানেও জয় পেয়েছি। কম রানের পুঁজি নিয়ে জিতেছি। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচেও জয় পেয়েছি। সেমি-ফাইনালের জন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। শেষ পর্যন্ত লড়াই করব আমরা।”

মন্তব্য করুন: