গুলবাদিনের অভিনয় দেখে হাসতে হাসতে চোখে জল মার্শের

গুলবাদিনের অভিনয় দেখে হাসতে হাসতে চোখে জল মার্শের

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে নজর রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। কারণ, আফগানিস্তান কোনোভাবে হারলেই মিচেল মার্শের দল চলে যেত সেমিফাইনালে। তাই মার্শ ‘কাম অন বাংলাদেশ’ লিখে পোস্টও দিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে আফগান ক্রিকেটার গুলবাদিন নাইবের এক কাণ্ড দেখে তিনি হাসি আটকাতে পারেননি।

গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ম্যাচটির সমীকরণ এমন ছিল যে, আফগানদের দেওয়া ১১৬ রানের টার্গেট ১২.১ ওভারের মধ্যে ছুঁতে পারলে বাংলাদেশও চলে যেত সেমিফাইনালে। কিন্তু তিন উইকেট পড়তেই হাল ছেড়ে দেয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সেমি-ফাইনাল বাদ দিয়ে লক্ষ্য করে জয়ের। ১১ ওভার ৪ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ৮১ রান। এমন সময় নামে বৃষ্টি। ডার্ক-ওয়ার্থ লুইস মেথডে তখন ২ রানে এগিয়ে ছিল আফগানিস্তান। খেলা বন্ধের আগে বাংলাদেশ কিছু রান করতে না পারলে ম্যাচ জিতে সেমি-ফাইনালে চলে যেত রশিদ খানের দল। 

ঠিক তখনই দেখা যায় মজার এক নাটক। মাঠের বাইরে থেকে আকাশ দেখিয়ে সময় নষ্ট করার ইশারা দেন আফগানিস্তানের হেড কোচ জনাথন ট্রট। কোচের ইশারায় পেশির টান দেখিয়ে মাঠে শুয়ে পড়েন স্লিপে ফিল্ডিং করা গুলবাদিন। বৃষ্টি জোরে পড়ায় আম্পায়ারও পরে খেলা বন্ধ করে দেন। এমন কাণ্ড দেখে ধারাভাষ্যকার থেকে শুরু করে গুলবাদিনের সতীর্থরাও হাসতে থাকেন। শুধু বিরক্তি প্রকাশ করেন অধিনায়ক রশিদ খান। 

মাঠে যখন শুয়েই পড়েছেন, তাই সতীর্থের কাঁধে ভর দিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় গুলবাদিনকে। কিন্তু বৃষ্টি থামলে একটু পরেই তিনি মাঠে বোলিং করেন, উইকেটও নেন। ম্যাচ জয়ের পর দৌড়ে উদযাপনও করেন। গুলবাদিনের এই কাণ্ডে বিতর্ক তৈরি হলেও মার্শ বেশ মজা পেয়েছেন। পুরো ম্যাচটিই টিভির সামনে বসে দেখেছেন মার্শ ও তার সতীর্থরা। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অজি অধিনায়ক বলেছেন, “ক্রিকেট মাঠে আমার দেখা সবচেয়ে হাস্যকর মুহূর্ত। হাসতে হাসতে আমার চোখে পানি এসে গিয়েছিল।”

তবে আফগানিস্তান যোগ্য দল হিসেবেই সেমিফাইনালে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেছেন মার্শ, “আমরা সবাই মিলে খেলাটি দেখেছি। ম্যাচটা ছিল অসাধারণ, তাই নয় কি? খেলাটি রং বদলেছে বারবার। বাংলাদেশের শেষ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আমরা সবাই হতাশ হয়ে পড়ি। আমরা টুর্নামেন্ট চালিয়ে যেতে মরিয়া ছিলাম। কিন্তু এটা বলতেই হয় আফগানিস্তান যোগ্যতর দল হিসেবেই সেমিতে গেছে। তারা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে, বাংলাদেশকে হারিয়েছে, তারাই সেমিতে যাওয়ার যোগ্য দল।”

মন্তব্য করুন:

Add