আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে প্রথমবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
২৭ জুন ২০২৪
আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে প্রথমবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে স্রেফ উড়ে গেছে রশিদ খানের দল। প্রোটিয়া পেস তোপে গুটিয়ে গেছে নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন টি-টুয়েন্টি স্কোরে। সেই লক্ষ্য তাড়ায় ৯ উইকেট হাতে রেখে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ত্রিনিদাদে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে টস জিতে বোলারদের জন্য ভালো সংগ্রহ গড়ে দিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রশিদ। কিন্তু মার্কো ইয়েনসেন ও কাগিসো রাবাদার পেস তোপে পাওয়ারপ্লেতেই সাজঘরে ফেরেন অর্ধেক আফগান ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত অল-আউট হয় ৫৬ রানে। জবাবে শুরুতে কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারালেও রিজা হেন্ড্রিকস ও এইডেন মারক্রামের ব্যাটে ৬৭ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই ডি ককের (৫) স্ট্যাম্প ভাঙেন ফজলহক ফারুকি। এরপর বাকি বোলাররা চেপে ধরার চেষ্টা করলেও হেন্ড্রিকস ও মারক্রাম জুটি দৃঢ়তায় সহজ জয় পায় প্রোটিয়ারা। ২৫ বলে ২৯ রানে হেন্ড্রিকস এবং ২১ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন মারক্রাম।
এই জয়ে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে সাতটি সেমি-ফাইনালের পর অষ্টমবারের চেষ্টায় ফাইনালের টিকিট পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। শিরোপা জিতলে প্রথম কোনো দল হিসেবে টি-টুয়েন্টির বিশ্ব আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হবে মারক্রামের দল।
এর আগে ম্যাচের প্রথম ওভারেই দুর্দান্ত ছন্দে থাকা আফগান ওপেনিং জুটি ভাঙেন ইয়েনসেন। কোনো রান না করা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফেরান দলীয় ৪ রানে। পরের ওভারেই বাঁহাতি এই পেসার ভাঙেন গুলবাদিন নাইবের (৯) স্ট্যাম্প।
চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসেই জোড়া আঘাত হানেন রাবাদা। প্রথম বলে বোল্ড করেন ইব্রাহিম জাদরানকে (২)। তিন বল পর মোহাম্মদ নবীর অফ স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন ডানহাতি এই পেসার। পরের ওভারে নানগায়াল খারোতি ফিরলে ২৩ রানেই ৫ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
আজমতউল্লাহ ওমরজাই প্রতিরোধের চেষ্টা চালালেও দলীয় সর্বোচ্চ ১০ রানের বেশি করতে পারেনি। ২৮ রানে তাকে ফেরান আনরিখ নর্কিয়া। প্রোটিয়া বোলিং তোপে পঞ্চাশের আগেই অল-আউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল প্রথমবার সেমি-ফাইনালে খেলতে আসা দলটি। তবে রশিদ ও করিম জানাতের কল্যাণে ৫০ রান স্পর্শ করে তারা। কিস্তু তাব্রাইজ শামসির ঘূর্ণিতে ২২ রানের এই জুটি ভাঙলে দ্রুতই নকআউট পর্বের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহে গুটিয়ে যায় আফগানরা।
পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইয়েনসেন। রাবাদা ও নর্কিয়ার শিকার দুটি করে উইকেট। শামসি নেন বাকি ৩ উইকেট।
মন্তব্য করুন: