ব্যস্ত সূচির কারণেই কি সেমি থেকে বিদায় নিল আফগানিস্তান?
২৭ জুন ২০২৪
সুপার এইটের শেষ ম্যাচ জিতে একদিন পরেই সেমি-ফাইনালে খেলতে মাঠে নামতে হয়েছে আফগানিস্তানকে। তবে ভ্রমণ জটিলতার কারণে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে অনুশীলনের সুযোগ পায়নি রশিদ খানের দল। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাজে পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে অনেকেই ব্যস্ত সূচির দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। কিন্তু এইসবকে অজুহাত হিসেবে মানতে নারাজ আফগান অধিনায়ক ও কোচ
ত্রিনিদাদে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস তোপে মাত্র ৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। জবাবে ৯ উইকেট ও ৬৭ বল হাতে রেখে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে প্রোটিয়ারা।
এর আগে সেন্ট ভিনসেন্টে স্থানীয় সময় গত সোমবার রাতে (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল) রোমাঞ্চকর ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল খেলার সুযোগ পায় আফগানরা। তবে পরদিনই সেমি-ফাইনালের ভেন্যুর উদ্দেশে রওনা দিতে হয় রশিদ-নবীদের। কিন্তু ফ্লাইট বিলম্বের কারণে নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা পর তারা ত্রিনিদাদে পৌঁছায়। ফলে আলাদা কোনো বিশ্রাম বা অনুশীলন ছাড়াই ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামতে হয় আফগানিস্তানকে।
এই বিষয়ে আফগান ইনিংস চলাকালীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে আইসিসির ঠাসা সূচির সমালোচনা করে টুইট করেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন।
“সেন্ট ভিনসেন্টে সোমবার রাতে জিতে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠেছে আফগানিস্তান। মঙ্গলবার চার ঘণ্টা ফ্লাইট দেরির পর ত্রিনিদাদে পৌঁছে অনুশীলনের সময় পায়নি কিংবা নতুন ভেন্যুর সঙ্গে মানিয়েও নিতে পারেনি। আমার মতে, এটা খেলোয়াড়দের প্রতি সম্মানের অনেক অভাব।”
So Afghanistan qualify for the WC semi winning in St Vincent on Monday night .. 4 hr flight delay on Tues to Trinidad so no time to practice or get accustomed to a new venue .. utter lack of respect to players i am afraid .. #T20WorldCup2024
— Michael Vaughan (@MichaelVaughan) June 27, 2024
ব্যস্ত সূচির প্রসঙ্গ উঠে আসে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেও। সেখানে নিজেদের পরিস্থিতি তুলে ধরেন জনাথন ট্রট। তবে এটাকে হারের কারণ হিসেবে দাঁড় করাতে নারাজ আফগান কোচ বলেন, “গ্রুপ পর্বের (সুপার এইট) শেষ ম্যাচ খেলার পর প্রথম সেমি-ফাইনাল খেলাটা অবশ্যই আদর্শ কিছু নয়। তারপর ভ্রমণ ছিল, গতকাল এখানে এসে… সত্যিকার অর্থে কোনো ‘ডে অফ’ ছিল না। তবে সূচি আমরা জানতামই। তাই এটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই না।”
“বিশ্বকাপের মতো আসরে খেলতে গেলে সবকিছুই নিজেদের পক্ষে আসবে না। লড়াই করতে হবে। কখনও কখনও পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গেও খেলতে হবে। দল নিয়ে আমি গর্বিত। তবে এমন নয় যে, এই কারণে (ঠাসা সূচির ক্লান্তি) আজকে আমরা জিততে পারিনি।”
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নেওয়ার বিষয়ে রশিদ বলেন, “দল হিসেবে আমাদের জন্য কঠিন এক রাত গেছে। আমরা এর চেয়ে ভালো করতে পারতাম। কিন্তু কন্ডিশন আমাদের সেটা করতে দেয়নি, তবে এটাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, আপনাকে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
মন্তব্য করুন: