এবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড়দের বিশ্বকাপ জেতাতে চান মারক্রাম
২৭ জুন ২০২৪
৩২ বছর ও সাতটি ভিন্ন বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালের বাধা পেরিয়ে অবশেষে এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানিস্তানকে রীতিমত উড়িয়ে প্রথমবারের মতো কোনো বৈশ্বিক আসরের শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামবে এইডেন মারক্রামের দল। আর প্রথম সুযোগেই দলকে বিশ্বকাপের স্বাদ পাইয়ে দিতে চাইছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
ত্রিনিদাদে প্রথম সেমি-ফাইনালে আফগানিস্তানকে মাত্র ৫৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেট ও ৯৭ বল হাতে রেখে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে টানা ৮ ম্যাচ অজেয় থাকা প্রোটিয়াদের সামনে সুযোগ আছে প্রথম কোনো দল হিসেবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রথমবারে ফাইনাল খেলার অনুভূতি প্রকাশে মারক্রাম বলেন, “এখন আমাদের মনে যা খেলা করছে, অবশ্যই দারুণ অনুভূতি। সত্যিই ভালো অনুভূতি। সাদা বলের ক্রিকেটে দুই সংস্করণেই এই দলটি লম্বা সময় ধরে একসঙ্গে। আমাদের জন্য ফাইনালে ওঠা খুব ভালো ব্যাপার। আমরা বিশ্বাস করি যে, সেরাদের সঙ্গে লড়াই করতে পারি এবং ট্রফি জিততে পারি। ফাইনালে উঠে সেই সুযোগ তৈরি করতে পারা আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার।”
এর আগে কখনও অদ্ভুত বৃষ্টি আইন, কখনও নিজেদের ভুল অথবা কখনও শেষ ওভারের নাটকীয়তায় গত সাত সেমি-ফাইনালের বাধা পেরুতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ফলে এবি ডি ভিলিয়ার্স, গ্রায়েম স্মিথ, জ্যাক ক্যালিস, শন পোলক, হানসি ক্রনিয়ে, অ্যালান ডোনাল্ড ও ডেল স্টেইনের মতো কিংবদন্তিরা ক্যারিয়ার শেষ করেন খালি হাতেই।
পূর্বসূরিরা শিরোপা জেতাতে না পারলেও তারা মারক্রামদের অনুপ্রেরণা জুগিয়ে গেছেন জানিয়ে প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, “তারা এই খেলাটির কিংবদন্তি, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের কিংবদন্তি। তাই আমার চোখে, তারা ফাইনাল খেললেন কি খেললেন না, সেটি কোনো বিষয়ই না। কারণ তারা আমাদেরকে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন।”
“তাদের কারণেই আমাদের আগে যারা খেলেছে তাদের সবারই প্রতিনিধিত্ব করছি। তাই তাদের গর্বিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। যদিও আমি মনে করি, এখনও একটি ধাপ বাকি আছে।”
এর আগে মারক্রামের নেতৃত্বে ২০১৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় প্রোটিয়ারা। সেই সাফল্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এবার দেশকে বড়দের ক্রিকেটে শিরোপা এনে দিতে চান মারক্রাম।
“সত্যি বলতে সেটির (২০১৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ) কথা চিন্তা করিনি। অনেক আগের কথা এবং আমার স্মৃতিশক্তি অত ভালো নয়। তবে আপনি যখন জানেন যে, কোনো এক পর্যায়ে আগে এটি করেছেন, তখন কিছুটা আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।”
“আমার মনে হয় না, দুটো বিষয় পুরোপুরি এক। তবে ফাইনালে উঠলে একই ধরনের চাপ নিতে হয় এবং আমরা ২০১৪ সালে সেই অভিজ্ঞতা পেয়েছি। তাই কিছুটা আত্মবিশ্বাস সেখান থেকে নিতে পারি। যা সম্ভাব্য সেরা উপায়ে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।”
শিরোপা লড়াইয়ে আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় বার্বাডোজে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হবে বৃহস্পতিবার রাতে ভারত-ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে।
মন্তব্য করুন: