আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার যত রেকর্ড
২৭ জুন ২০২৪
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে আফগানিস্তানকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রশিদ খানের দলকে মাত্র ৫৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেট ও ৬৭ বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে এইডেন মারক্রামের দল। আর এতেই নতুন করে বেশ কিছু রেকর্ডের জন্ম দিয়েছে প্রোটিয়ারা।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে ত্রিনিদাদে পাওয়া জয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে অথবা টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। আইসিসির কোনো আসরে এর আগে কেবল একবারই শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নেমেছিল তারা। ১৯৯৮ সালের আইসিসি নকআউট ট্রফির (বর্তমানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) শিরোপা জেতে প্রোটিয়ারা।
আফগানিস্তানকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে টি-টুয়েন্টিতে টানা সবচেয়ে বেশি ৮ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছে প্রোটিয়ারা। আগের রেকর্ডটি ছিল টানা ৭ ম্যাচের। ২০০৯ ও ২০২১ সালে দু’বার এই কীর্তি গড়েছিল তারা।
একই সঙ্গে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপেও সবচেয়ে বেশি ৮ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছে মারক্রাম-ক্লাসেনরা। যৌথভাবে এই তালিকায় তাদের সঙ্গে আছে অস্ট্রেলিয়া। ২০২২ সালের আসরে নিজেদের শেষ ৩ ম্যাচ ও চলতি আসরের প্রথম ৫ ম্যাচ জেতে এই কীর্তি গড়ে ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন প্রোটিয়া পেসারদের তোপে মাত্র ৫৬ রানেই অল-আউট হয় আফগানিস্তান, যা দেশটির টি-টুয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৪ সালের আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭২ রানে অল-আউট হয় তারা, যা এতদিন আফগানদের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর ছিল।
এছাড়াও এদিন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের ম্যাচে সবচেয়ে কম দলীয় সংগ্রহের অনকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড গড়ে রশিদ খানের দল। আগের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১০১ রান। ২০০৯ আসরের সেমি-ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০১ রানে অল-আউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ২০১২ আসরের ফাইনালে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে একই স্কোরে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।
আফগানদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় বলের হিসেবে এদিন সবচেয়ে বড় জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। ৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে কুইন্টন ডি কক, রিজা হেন্ড্রিকস ও মারক্রাম সময় নেন মাত্র ৮ ওভার ৫ বল। অর্থাৎ ৬৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা। তাদের এর আগের রেকর্ডটি ছিল ৫১ বলের। ২০০৭ সালে পাকিস্তানের দেওয়া ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫১ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফগানিস্তানের সঙ্গে মুখোমুখি দেখায় অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখল প্রোটিয়ারা। পাঁচবারের দেখায় আফ্রিকার দেশটি জয় পেয়েছে সবগুলোতেই। আগের চারটি জয়ের দুটি এসেছে ২০১০ ও ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে। অপর দুটি এসেছে ২০১৯ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে।
মন্তব্য করুন: