তিনটা ম্যাচ জিতেছি, এটা ইতিবাচক দিক: তাসকিন

তিনটা ম্যাচ জিতেছি, এটা ইতিবাচক দিক: তাসকিন

আফগানিস্তানের কাছে সুপার এইটে হারের পর জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার দেশে ফিরে সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদও নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলেন। সেইসঙ্গে দাবি করলেন, এই টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ইতিবাচক অর্জনও আছে।

শুক্রবার সকালে তাসকিনদের বহনকারী বিমানটি ঢাকায় অবতরণ করে। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের পারফর্মেন্স নিয়ে তাসকিন বলেন, “সত্যি কথা বলতে, ভালোর তো শেষ নেই। হ্যাঁ, আরও অনেক ভালো হতে পারত। বিশেষ করে শেষ ম্যাচটা। আমরা সবাই একটু হতাশ হয়েছি। আমরা জেতার চেষ্টা করেছি ১২ ওভারের মধ্যে। যখন বুঝতে পারলাম ১২ ওভারের মধ্যে শেষ করা সম্ভব না, তখন স্বাভাবিকভাবে খেলার চেষ্টা করেছি। তাও জিততে পারিনি।”

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ইতিবাচক দিকও খুঁজে পেয়েছেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক, “হ্যাঁ, ইতিবাচক দিকও আছে। পুরো টুর্নামেন্টে বোলিং যথেষ্ট ভালো করেছি। সুপার এইটে এসেছি। সর্বপ্রথম টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তিনটা জয় পেয়েছি। মানে পজেটিভ আছে। কিন্তু নেগেটিভের সংখ্যাটা একটু বেশি। সবার মতো আমরাও জানি, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি।”

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ এবারই প্রথম ২০ দলের হওয়ায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল অনেক দলও সুযোগ পায়। বাংলাদেশের তিন জয়ের মধ্যে আছে তাই নেপাল আর নেদারল্যান্ডেসর বিপক্ষে জয়ও। তাই পরিসংখ্যানের হিসেবে তিনটি জয়ে সবচেয়ে সফল টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ বলে দলের সবাই দাবি করলেও পারফরম্যান্সের বিবেচনায় মোটেও সফল বলা যায় না।

আফগানিস্তান ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে তাসকিন আরও বলেন, “এখন আসলে আমরা সবাই ব্যথিত, সমর্থকরাও। বিশেষ করে কয়েকটা ম্যাচ আমাদের জেতার কথা ছিল, পারিনি। শেষ ম্যাচে ১২.১ ওভারে আমাদের সবারই পরিকল্পনা ছিল জেতার। আমরা সে ইনটেন্ট নিয়েই খেলা শুরু করেছি। একটা পর্যায়ে যখন দেখলাম যে হবে না ১২ ওভারে, তখন স্বাভাবিকভাবে জেতার চেষ্টা করা হয়, তারপর আমরা ওটাও চেষ্টা করে পারিনি।”

মন্তব্য করুন: