বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর নিজের কৌশলে ভুল দেখছেন বাটলার
২৮ জুন ২০২৪
দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ভারতের কাছে ব্যাটে-বলে স্রেফ উড়ে গেছে ইংল্যান্ড। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৬৮ রানে গুঁড়িয়ে ১০ বছর পর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ শেষ ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার স্বীকার করেছেন, বোলিংয়ের সময় তার ভুল কৌশল গ্রহণের বিষয়টি।
বৃহস্পতিবার গায়ানায় টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বাটলার জানান, পিচে বল নিচু হয়ে আসার কারণে তিনি আগে বোলিং করবেন। আর রোহিত শর্মার চাওয়া ছিল ব্যাটিংই। ভারত অধিনায়কের মতে, খেলা যত এগোবে, পিচ তত ধীর হবে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে।
এদিন ম্যাচের মূল পার্থক্য গড়ে দেয় স্পিনাররা। ইংলিশ দুই স্পিনার আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোনের ৮ ওভারে ভারতীয় ব্যাটাররা রান তোলে ৪৯। অন্যদিকে পেসারদের ওপর ঝড় তোলে বাকি ১২ ওভারে দলের খাতায় যোগ করে ১২২ রান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৭১ রানের সংগ্রহ পায় রোহিতের দল।
জবাবে শুরু থেকেই ভারতীয় স্পিনারদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে ইংলিশ ব্যাটাররা। পিচের সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে আরও চেপে ধরেন অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা। এই তিন স্পিনারের ১১ ওভারে ইংল্যান্ড তোলে মোটে ৫৮ রান। অক্ষর-কুলদীপ মিলে তুলে নেন ৬ উইকেট। শেষ পর্যন্ত বাটলারের দল ১৬ ওভার ৪ বলে অল-আউট হয় ১০৩ রানে।
এদিন ইংল্যান্ড দলে ছিল মঈন আলীর মতো পরীক্ষিত অফ স্পিনার। তবে ম্যাচে একটি ওভারের জন্যও তাকে আক্রমণে আনেননি বাটলার। ম্যাচ শেষে স্পিনারদের দাপট দেখে ইংলিশ অধিনায়কেরও উপলব্ধি হয়েছে তিনি মঈনকে কাজে লাগাতে পারতেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাটলার বলেন, “তারা (ভারত) ভালো বল করেছে। ওদের দলে চমৎকার সব স্পিনার ছিল। আমাদের দুজনও (রশিদ ও লিভিংস্টোন) খুব ভালো বোলিং করেছে। পিচে স্পিন যেভাবে ধরেছে, তাতে মঈনকেও বোলিং করানো উচিত ছিল।”
টসের সিদ্ধান্ত ইংল্যান্ডকে খালি হাতে বাড়ি পাঠাতে খুব একটা ভূমিকা রাখেনি জানিয়ে ইংলিশ অধিনায়ক আরও বলেন, “এই ধরনের কন্ডিশনে বৃষ্টির কারণে আমি ভেবেছিলাম এটা (পিচ) অতটা পরিবর্তন হবে না। এবং আমি আসলেই মনে করি এমটা হয়নি। তারা বোলিংয়ে আমাদের চেয়ে দুর্দান্ত ছিল। তারা বেশ বড় সংগ্রহ গড়েছিল। তাই আমার মনে হয় না টস খুব বড় কোনো পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।”
মন্তব্য করুন: