বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলায় বিসিবির সবাই খুশি

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলায় বিসিবির সবাই খুশি

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফর্মেন্স চরম সমালোচিত হলেও খুশি ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাদের এত খুশির কারণ, নাজমুল হোসেন শান্তর দল সুপার এইটে কোয়ালিফাই করেছে। এটাই নাকি বিশ্বকাপে দলের প্রাথমিক টার্গেট ছিল। এসব কথাই গণমাধ্যমকে বলেছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। 

জালাল ইউনুস বলেন, “বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমাদের একটা টার্গেট ছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে (সুপার এইট) কোয়ালিফাই করা। সেদিক দিয়ে আমরা কোয়ালিফাই করেছি। অবশ্যই এটা ইতিবাচক দিক যে টার্গেটে পৌঁছতে পেরেছে। দুইভাগে যদি ভাগ করি, তাহলে একদিক দিয়ে টার্গেটে পৌঁছতে পারায় সবাই খুশি। এরপর যা ছিল ওভারঅল পারফর্মেন্সে। যদি আপনি ব্যাটিং আর বোলিংয়ে বলেন, আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি। পুরো টুর্নামেন্টেই আমরা ভালো ব্যাট করিনি। প্রথম রাউন্ডের চার ম্যাচের চারটিতেই কিন্তু আমরা জিততে পারতাম। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে খুব ক্লোজ ম্যাচ হেরেছি। … টপ অর্ডারে নিয়মিতি ধস নেমেছে বলে আমরা ব্যাটিং ভালো করতে পারিনি।”

ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝে আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েই রিশাদ নিয়েছেন ১৪ উইকেট। পেসাররও কম-বেশি ভালো করেছেন। এটাকে অন্যতম প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন জালাল, “আপনি যদি আরও প্রাপ্তির কথা বলেন, তাহলে আমাদের বোলিং বিভাগে প্রাপ্তি আছে। আমাদের পেসার এবং স্পিনাররা ব্রিলিয়ান্ট বোলিং করেছে। বিশেষ করে রিশাদ। নিজেকে প্রমাণ করতে ওর জন্য এটা বড় মঞ্চ ছিল। সে সব মিলিয়ে ভালোই করেছে। সব মিলিয়ে দেখেন, এই বিশ্বকাপে আমরা ভালো খেলেছি।”

পুরো বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের টপ অর্ডার বিস্ময়করভাবে ব্যর্থ হয়েছে। প্রায় একই অবস্থা ছিল মিডল অর্ডারেও, যা নিয়ে জালাল ইউনুসও বিস্মিত, “ব্যাটিংয়ে এভাবে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হতে আমরা এর আগে কখনো দেখিনি। হয়তো একজন ফেইল করেছে, আরেকজন গিয়ে কভার করেছে। টপ অর্ডারের পর মিডল অর্ডারেও আমরা ফেইল করেছি। তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা বেশি। সবাই স্বীকার করে। খেলোয়াড়েরাও স্বীকার করে। তবে মাঠে গিয়ে কেউ খারাপ খেলতে চায় না। সবাই ভালোই খেলতে চায়। ব্যাটিংয়ের যেসব জায়গায় দুর্বলতা আছে, সেগুলো খুঁজে বের করে কাজ করতে হবে।”

মন্তব্য করুন: