ভারতের শিরোপা খরা কাটিয়ে অবসরে কোহলি-রোহিত

ভারতের শিরোপা খরা কাটিয়ে অবসরে কোহলি-রোহিত

২০১১ সালে সবশেষ বিশ্বকাপের কোনো শিরোপা জিতেছিল ভারত। এরপর কেটে গেছে ১৩টি বছর আটটি বিশ্বকাপ। এই সময়ে বহু চেষ্টা করেও বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটি আর ছুঁয়ে দেখা হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁদিয়ে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণকে বিদায় জানিয়েছেন অন্যতম দুই নায়ক বিরাট কোহলি রোহিত শর্মা।

বার্বাডোজে শনিবার টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের ফাইনালের রোমাঞ্চকর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে রানে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছে ভারত। দলের বিপর্যয়ের মুখে ৫৯ বলে ৭৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন কোহলি। সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিতে গিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি থেকে পথ চলার ইতি টানার ঘোষণা দেন এই তারকা ব্যাটার।

এটা আমার শেষ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এটাই আমরা অর্জন করতে চেয়েছি। আজ ব্যাটিংয়ে যাওয়ার সময় আমি রোহিতকে বলছিলাম, একদিন তোমার মনে হবে রানই করতে পারছো না। এরপরে কিছু ঘটবে। ঈশ্বর মহান। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ যে আমি দলের সবচেয়ে দরকারের সময় আমি কাজটি করতে পেরেছি। ভারতের হয়ে এটা ছিল আমার শেষ টি-টুয়েন্টি ম্যাচ। আমার খেলতে নামা শেষ বিশ্বকাপ।

নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে এবারই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল জানিয়ে কোহলি বলেন, “এটা (অবসর) একটা ওপেন সিক্রেট ছিল। এটা এমন না যে আমরা হেরে গেলে আমি এই ঘোষণাটা দিতাম না। এখন পরবর্তী প্রজন্মের পালা দায়িত্ব নেওয়ার। আগামী দুই বছরে দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড় দলকে এগিয়ে নেবে এবং পতাকা উঁচু করে ধরবে।

কোহলির পর ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে টি-টুয়েন্টি থেকে নিজের অবসরের কথাও জানান ভারতের শিরোপা খরা কাটানো অধিনায়ক রোহিত।

এটা আমারও আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে শেষ ম্যাচ। এই ফরম্যাটকে বিদায় বলার এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না। আমি এর প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এই ফরম্যাটেই ভারতের হয়ে আমার ক্যারিয়ার শুরু করেছি। এই শিরোপাটা আমি খুব করে জিততে চেয়েছিলাম। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সহজ নয়। আমার জন্য বেশ আবেগের মুহূর্ত এটি।

আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টির সবচেয়ে সফল দুই ব্যাটার হিসেবে বিদায় নিলেন ভারতীয় ক্রিকেটে এই দুই তারকা। দুজনই আছেন এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহকের তালিকার সবার ওপরে।

১৫৯ ম্যাচে ৩২ দশমিক ০৫ গড় ১৪০ দশমিক ৮৯ স্ট্রাইক-রেটে রোহিতের রান হাজার ২৩১, যা টি-টুয়েন্টিতে সর্বোচ্চ। এই ফরম্যাটে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি পাঁচটি সেঞ্চুরির রেকর্ডও তার দখলে। ফিফটি ৩২টি। সবচেয়ে বেশি ২০৫ ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করা রোহিত একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে দেড়শ ম্যাচ খেলারও কীর্তি গড়েছেন।

অন্যদিকে ১২৫ ম্যাচে ৪৮ দশমিক ৬৯ গড় ১৩৭ দশমিক ০৪ স্ট্রাইক-রেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৮৮ রান কোহলির। ডানহাতি এই ব্যাটার একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন রেকর্ড ৩৮টি ফিফটি।

মন্তব্য করুন: