ঘুম কাণ্ডে ক্ষমা চেয়ে তাসকিনের ব্যাখ্যা

ঘুম কাণ্ডে ক্ষমা চেয়ে তাসকিনের ব্যাখ্যা

ঘুমের কারণে তাসকিন আহমেদের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সুপার এইটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ মিস করা নিয়ে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে এখন তোলপাড় চলছে। বিসিবি সূত্র থেকে এটি সংবাদ মাধ্যমে আসার পর সাকিব আল হাসানও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন। এবার এই ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

গত ২২ জুন অ্যান্টিগায় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তাসকিনের বদলে একাদশে আসেন ব্যাটার জাকের আলী। দারুণ ছন্দে থাকা বোলারকে বসিয়ে অতিরিক্ত ব্যাটার নিয়ে মাঠে নামায় সে সময় এই ঘটনায় বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও।

সম্প্রতি দেশের গণমাধ্যমে প্রতিবেদন বের হয়, ঘুম থেকে দেরিতে ওঠার কারণে সেদিনের ম্যাচে খেলতে পারেননি তাসকিন। মঙ্গলবার বিশ্বকাপে দলের সহ-অধিনায়কের ঘুম থেকে দেরিতে ওঠা নিয়ে সাকিব বলেন, “ক্রিকেটে একটা নিয়ম আছে যে দলের বাস কারও জন্য অপেক্ষা করে না। যদি কেউ কখনও বাস মিস করে, তারা পরে গাড়ি নিয়ে মাঠে আসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ট্রান্সপোর্টের সাপোর্টটা অনেক কঠিন ছিল। যখন তাসকিন পৌঁছেছিল (মাঠে), টস হওয়ার -১০ মিনিট আগে। স্বাভাবিকভাবে কঠিন ছিল ওই সময় তাকে দলে নেওয়া। তাসকিন পরে এর জন্য দলের সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। দলের সবাইও বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে নিয়েছে। অনিচ্ছাকৃত ভুল সবারই হতে পারে। সে এটা স্বীকার করেছে। তারপর ওখানেই এটা শেষ হয়ে গেছে।

একই দিন বোর্ড সভা শেষে তাসকিনের ঘুম থেকে দেরিতে ওঠার বিষয়টি সত্য বলে জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও।

বুধবার বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দেন তাসকিন। ফেইসবুকে নিজের অফিশিয়াল পেইজে দেওয়া পোস্টে ডানহাতি এই পেসার দাবি করেন, তিনি টসের ২০ মিনিট আগে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন। এখানে তার ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত সময়ের বর্ণনাও করেন।

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় থাকা ডানহাতি এই পেসার নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আমি স্বীকার করি যে আমি স্বাভাবিকের চেয়ে পরে উঠেছি এবং এর জন্য আমি ইতিমধ্যে পুরো দল এবং ম্যানেজমেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।

আমি জানি আমি সময়মতো টিমের বাসে না উঠার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি, কিন্তু আমি টসের আগেই স্টেডিয়ামে ছিলাম। আমার চূড়ান্ত দলে নির্বাচিত না হওয়াটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিলো। যা সঠিক টিম কম্বিনেশন পাওয়ার সাথে সম্পর্কিত এবং এটি আমার টিম বাসে না ওঠার ব্যর্থতার সাথে সম্পর্কিত ছিল না।

এক বোলার কম নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশের বিপক্ষে সেদিন উইকেটে ১৯৬ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল ভারত, যা পুরো টুর্নামেন্টে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ। লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটারদের দায়িত্বহীনতায় ৫০ রানে ম্যাচটি হারে তারা।

মন্তব্য করুন: