‘ক্রিকেট পাকিস্তানে শখ, ভারতে ব্যবসা’
৯ জুলাই ২০২৪

গত ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। দলের বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে এখনও চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এমন সময় দেশের ক্রিকেট সামনের দিকে এগুতে না পারার ভিন্ন এক কারণের কথা জানিয়েছেন রশিদ লতিফ। পাকিস্তানের সাবেক এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটাররের মতে, তারা ক্রিকেটকে এখনও শখ হিসেবে দেখে বলেই তাদের উন্নতি হচ্ছে না।
ভারতের সংবাদ মধ্যম নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জেতা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পার্থক্য কোথায়, সে বিষয়ে কথা বলেন লতিফ। সেখানেই নিজের নতুন এই তত্ত্ব তুলে ধরেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
“ভারত তাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মতো ক্রিকেট ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন করেছে। আমরা ক্রিকেটকে এখনো শখ হিসেবেই দেখছি। এ কারণেই আমরা এটাকে ব্যবসায় রূপ দিতে পারছি না।”
“পিএসএল যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, এখনো সেখানেই পড়ে আছে। সর্বোচ্চ বেতন সীমা ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। তারা এটাকে কেন আর বাড়াতে পারছে না? আমরা কেন মিচেল স্টার্ক বা প্যাট কামিন্সের মতো খেলোয়াড় পাই না? কারণ, আমাদের অর্থ নেই, তাই ব্যবসাও নেই।”
আইপিএলের মাধ্যমে ভারত যেভাবে দ্রুত উন্নতি করে ক্রিকেট বিশ্বে শাসন করছে সেটি তুলে ধরে লতিফ বলেন, “এমন না যে ভারত এই বিশ্বকাপের পর বা সম্প্রতি বিশ্ব ক্রিকেটে পরাশক্তি হয়েছে। ২০০৭, ২০১১, ২০১৫ সালের দিকে তাকান। তারা বিদেশি কোচদের কাছ থেকে অনেক জ্ঞান অর্জন করেছে। একই সময়ে তারা তৃণমূলেও কাজ করছে। আইপিএলও একটা ব্যাপার হয়ে এসেছে। তাদের এখন সব সেরা লোকগুলো আছে। ডিসির (দিল্লি ক্যাপিটালস) পন্টিং আছে, হাসি ও ব্রাভো আছে। কিন্তু আমরা কী করছি?”
এমনকি বিপিএলেরও উদাহরণ টানেন পাকিস্তানের সাবেক এই উইকেটকিপার। তার মতে, যোগ্য লোকদের পিএসএল থেকে সরিয়ে দেওয়ায় তারা এখনও এগুতে পারছে না।
“যে লোকগুলোর মাথা থেকে পিএসএলের ধারণাটা এসেছিল, এক বছরের মধ্যে তাদের ছুড়ে ফেলা হয়েছে। এটা বড় করার একটা লক্ষ্য ছিল তাদের, কিন্তু এটা হলো না। পিএসএলের চেয়ে বিপিএলে বিদেশি খেলোয়াড় বেশি খেলে। শুধু টাকা বেশি আছে বলেই মঈন আলী, ডেভিড মিলাররা সেখানে খেলে। আমরাই শুধু এগোতে পারি না।”
মন্তব্য করুন: