দীর্ঘ ক্যারিয়ার নিয়ে কৃতজ্ঞ অ্যান্ডারসন
১২ জুলাই ২০২৪
১৮৮ টেস্ট আর ৭০৪ উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ২১ বছরের দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় চোট মুক্ত থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে সাদা পোশাকে মাঠে নামতে পারায় কৃতজ্ঞ এই পেসার। তবে বিদায় বেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ উইকেটটি নিতে না পারার কিছুটা আক্ষেপও আছে ৪২ বছর ছুঁই ছুঁই করা এই ক্রিকেটারের।
শুক্রবার লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুটা উইকেট দিয়ে করেন অ্যান্ডারসন। তবে এরপর আর কোনো উইকেট পাননি তিনি। অভিষিক্ত গাস অ্যাটকিনসনের পেস তোপে ১৩৬ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংলিশরা ম্যাচ জেতে ইনিংস ও ১১৪ রানে।
বিদায়ী টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে অ্যান্ডারসনের শিকার ৪ উইকেট, যার তিনটিই নেন দ্বিতীয় ইনিংসে। ম্যাচ শেষে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লম্বা ক্যারিয়ারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
“আমি কেবলই আনন্দিত যে আমি এত দূর আসতে পেরেছি। ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় চোট থেকে দূরে থাকতে পারায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আর হ্যাঁ, ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পেরেও। এটা পৃথিবীর সেরা কাজ। তাই দীর্ঘ সময় এই কাজটি করতে পারায় আমি কৃতজ্ঞ।”
এদিন ইনিংসের চতুর্থ উইকেট শিকার করে ক্যারিবিয়ান ইনিংস শেষ করার ভালো এক সুযোগ পান অ্যান্ডারসন। কিন্তু গুদাকেশ মোটির ফিরতে ক্যাচ তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন এই কিংবদন্তি পেসার। ৭০৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করতে না পারায় তাই কিছুটা আক্ষেপও ঝরে তার কণ্ঠে। তবে সমর্থকদের ভালোবাসায় বেশ উচ্ছ্বাসিত তিনি।
“সত্যি বলতে ক্যাচটা মিস করায় আমি কিছুটা হতাশ। তবে হ্যাঁ, সপ্তাহটা দুর্দান্ত ছিল। মাঠে সমর্থক এবং দলের সবার কাছ থেকে যে অভিবাদন পেয়েছি তাতে বেশ অভিভূত। যা কিছু অর্জন করতে পেরেছি তার জন্য গর্বিত।”
২০০৩ সালে লর্ডসে ৬১৩তম ক্রিকেটার হিসেবে ইংল্যান্ড টেস্ট দলে অভিষেক হয় অ্যান্ডারসনের। ক্যারিয়ারের শুরুটা করেছিলেন নাসেরের নেতৃত্বেই। এরপর খেলেছেন মাইকেল ভন, অ্যালিস্টার কুক, জো রুট ও সবশেষ বেন স্টোকসের মতো অধিনায়কের নেতৃত্বে। পুরো ক্যারিয়ারে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন ১০৯ ক্রিকেটারকে।
“অসাধারণ কিছু খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। তাদের মধ্যে বেশ কিছু খেলোয়াড় আছে যারা ইতিহাসের অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটার। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ সারাজীবনের জন্য দারুণ কিছু বন্ধু বানিয়েছি।”
ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে খেলাটাকে উপভোগ করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, “এটা দুর্দান্ত একটি খেলা। আমার মনে হয় না অন্য কোনো খেলায় এরকম আবহ, এই ধরনের বন্ধুত্ব তৈরি করে। যারা আরও কয়েক বছর এই খেলাটা খেলতে পারবে তাদের জন্য আমার কিছুটা হিংসেও হচ্ছে। দলের তরুণদের আমি একটাই উপদেশ দিতে চাই, প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ কর। কারণ এটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা।”
মন্তব্য করুন: