স্মিথকে ওপেনিংয়ে খেলানোর সিদ্ধান্তটা পাগলামি: হেইডেন

২৩ আগস্ট ২০২৪

স্মিথকে ওপেনিংয়ে খেলানোর সিদ্ধান্তটা পাগলামি: হেইডেন

ডেভিড ওয়ার্নারের টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের পর অস্ট্রেলিয়ার নতুন টেস্ট ওপেনারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ। তবে তারকা এই ব্যাটারকে নতুন পজিশনে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেননি ম্যাথিউ হেইডেন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই কিংবদন্তি ওপেনারের মতে, পুরোনো পজিশনেই স্মিথের ব্যাটিং করা উচিত।

চলতি বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান ওয়ার্নার। তার আগে থেকেই আলোচনা চলছিল বাঁহাতি এই ওপেনারের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা নিয়ে। প্রথমে লম্বা সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে আসা পরীক্ষিত তিন ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফট, মার্কাস হ্যারিস ও ম্যাট রেনশকে নিয়েই ছিল মূল আলোচনা। তবে হঠাৎ করে স্মিথ ওপেনিংয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করায় শেষ পর্যন্ত তাকেই টেস্টের নতুন ওপেনার হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ওপেনিংয়ের অভিজ্ঞতা না থাকা স্মিথের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন ভূমিকায় শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের পর নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে খেলেন আরও দুটি টেস্ট। ৪ টেস্টের ৮ ইনিংসে ফিফটি করেন কেবল একটি। ওপেনিংয়ে ব্যাটিং গড় কেবল ২৮ দশমিক ৫০।

অন্যদিকে স্মিথের নিয়মিত পজিশন চার নম্বরে ৬৭ ইনিংসে তার গড় ৬১ দশমিক ৫০। আর তিন নম্বরে ১৭ ইনিংসে গড় ৬৭ দশমিক ০৭।

সম্প্রতি মুম্বাইয়ের এক অনুষ্ঠানে স্মিথের ওপেনিংয়ে নামা নিয়ে নিজের অভিমত তুলে ধরে ১০৩ টেস্ট খেলা হেইডেন বলেন, “জর্জ বেইলি (প্রধান নির্বাচক) যে যুক্তি দিয়েছিলেন, তা ওই পর্যন্ত সঠিক ছিল যে তিনি তার সেরা ছয় ব্যাটারকে বেছে নিয়েছিলেন। এখন, স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে তো তর্ক করা যাবে না। টেস্ট ক্রিকেটে তার গড় ৬৫ (৫৬.৯৭)... সেঞ্চুরি আছে ৩২টি।”

“কিন্তু মিডল-অর্ডার ব্যাটারদের তুলনায় একজন ওপেনারের ভূমিকা আলাদা। আর চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনে পড়লে, যেমন অস্ট্রেলিয়ার বাইরে প্রথম সিরিজে তারা যখন নিউ জিল্যান্ডে খেলল, সেখানেই তাদের সেটা বুঝতে বেশি সময় লাগেনি। নিউ জিল্যান্ডে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করা খুবই কঠিন।”

এরপরই কেন স্মিথকে ওপেনিংয়ে নামানোর সিদ্ধান্তটি পাগলাটে ছিল তা ব্যাখ্যা করে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সাড়ে ৮ হাজারের বেশি টেস্ট রান করা সাবেক এই ওপেনার বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি, যেমনটা বলেছিলাম, (ব্যাটিং পজিশন) পরিবর্তন করাটা পছন্দ করি না। আমি মনে করি এটা চিন্তা করাটাই পাগলামি যে আপনার দলে একটি নির্দিষ্ট পজিশনে ফর্মে থাকা বিশ্বের সেরা ব্যাটার আছে এবং এরপর আপনি তাকে একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন পজিশনে খেলাচ্ছেন। আমি মনে করি এটা স্রেফ পাগলামি।”

মন্তব্য করুন:

Add