মুশফিকের সেঞ্চুরি ও ৪ ফিফটিতে বাংলাদেশের ৫৬৫

২৪ আগস্ট ২০২৪

মুশফিকের সেঞ্চুরি ও ৪ ফিফটিতে বাংলাদেশের ৫৬৫

পাকিস্তানের রান পাহাড়ের জবাবে শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপেই ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি এবং সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ১১৭ রানের লিড নিয়েছে সফরকারীরা। ১৬৭ ওভার ৩ বল খেলার পর নাজমুল হোসেন শান্তর দলের ইনিংস থেমেছে ৫৬৫ রানে।

৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে শেষ দিনের খেলা শুরু করবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে এক উইকেট হারিয়ে ফেলা স্বাগতিকরা।

শনিবার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে চতুর্থ দিনে দলকে বড় সংগ্রহ গড়ে দেওয়ার কারিগর মুশফিক ও মিরাজ। সপ্তম উইকেটে এই দুই ব্যাটারের ১৯৬ রানের জুটিতে পাকিস্তানের ৪৪৮ রান টপকে যায় বাংলাদেশ। তবে দিনের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি টাইগারদের।

৫ উইকেটে ৩১৬ রান নিয়ে দিনের খেলা করা মুশফিক-লিটনের জুটি ভাঙে আর ১৬ রান যোগ করতেই। নাসিম শাহর বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে লিটন (৫৬) ফিরলে শেষ হয় ষষ্ঠ উইকেটে ১১৪ রানের জুটিটি। তবে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগের ওভারে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম শতক তুলে নেন তুলে নেন মুশফিক।

দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০৬ রান যোগ করেন মুশফিক ও মিরাজ। এ সময় এই দুই ব্যাটারকে কোনো চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেননি পাকিস্তান। চার পেসারের পাশাপাশি নিষ্প্রভ ছিলেন পার্ট-টাইম স্পিনাররাও।

তবে তৃতীয় সেশনে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পায় তারা। দুর্দান্ত খেলতে থাকা মুশফিক ছিলেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ দ্বিশতকের পথে। কিন্তু কিছুটা ধৈর্য হারিয়ে ফেলে মোহাম্মদ আলীর বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ দেখেন তিনি। থামে ৩৪১ বলে ২২ চার ও এক ছক্কায় সাজানো ১৯১ রানের ইনিংসটি।

এর আগে সবশেষ ঘরের মাঠে গত বছর এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন অঙ্কের ছোঁয়া পান এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। এছাড়াও তামিম ইকবালকে পেছনে ফেলে ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি পঞ্চমবারের মতো দেশের বাইরে শতক হাঁকান মুশফিক।

ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরলেও টেইলএন্ডারদের নিয়ে দলকে রান পাহাড়ে তুলতে থাকেন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ৭৭ রানে শাহিন শাহ আফ্রিদির শিকার হন তিনি। আর শেষ দিকে শরিফুল ইসলামের ২টি করে চার ও ছক্কায় ২২ রানের ইনিংসে লিডটা কিছুটা বাড়িয়ে নেয় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান তৃতীয় ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন শরিফুল। বাঁহাতি এই পেসারের বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাইম আইয়ুব। বাকিটা সময় শরিফুল ও হাসান মাহমুদের তোপ সামলাতেই হিমশিম খায় স্বাগতিকরা। ১০ ওভারে ১ উইকেটে ২৩ রানে দিনের খেলা শেষ করেন আবদুল্লাহ শফিক (১২*) ও শান মাসুদ (৯*)।

মন্তব্য করুন: