দেশের প্রস্তুতি ক্যাম্পের কৃতিত্ব দিলেন ম্যাচসেরা মুশফিক
২৫ আগস্ট ২০২৪
বছরের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দলকে ঐতিহাসিক এক জয় এনে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। রাওয়ালপিন্ডির উষ্ণ কন্ডিশনে লম্বা সময় ক্রিজে টিকে থেকে খেলেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসও। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। আর এমন পারফরম্যান্সের পেছনে সিরিজের আগে দেশের মাটিতে নেওয়া প্রস্তুতি ক্যাম্পকে কৃতিত্ব দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
রোববার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পঞ্চম দিন পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দেশটির বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের এটিই প্রথম জয়।
ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দ্বিশতকের পথেই ছিলেন মুশফিক। কিন্তু ক্যারিয়ারের চতুর্থ দ্বিশতক থেকে ৯ রান দূরে থাকতে তাকে থামতে হয় ১৯১ রানে। ২২ চার ও এক ছক্কায় ৩৪১ বলে ইনিংসটি সাজান এই ডানহাতি ব্যাটার।
দারুণ এই পারফরম্যান্সের বিষয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে মুশফিক বলেন, “অবশ্যই এটি আমার সবচেয়ে ভালো ইনিংসগুলোর একটি। যেমনটি বললেন, বিদেশে তেমন ভালো করিনি। ফলে দল হিসেবে এটি আমাদের একটি লক্ষ্য ছিল, যেন পারফর্ম করতে পারি, যাতে সবাই দেখে যে আমরা বিদেশে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করছি।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে লম্বা সময়ের বিরতি পেয়েছিলেন মুশফিক। সে সময় টেস্ট দলের ক্রিকেটাররাসহ দেশের মাটিতে বাংলা টাইগার্সের সঙ্গে প্রস্তুতি ক্যাম্পে কঠোর অনুশীলন করেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডির কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সেই ক্যাম্প কাজে দিয়েছে বলে জানান এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
“এ সিরিজের আগে প্রায় আড়াই মাসের একটা বিরতি ছিল। আমরা বাংলা টাইগার্সের হয়ে বিশেষ একটা ক্যাম্প করেছি দেশে। স্থানীয় সাপোর্ট স্টাফের দারুণ সহায়তা পেয়েছি। এটি আমাদের সহায়তা করেছে, বিশেষ করে টেস্ট খেলোয়াড়দের। কারণ সীমিত ওভারে যারা খেলে, তারা টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যস্ত ছিল। দেশেও এমন আবহাওয়াই ছিল। ওই অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের মানসিক কাঠিন্য এসেছে। আমি ওই ক্যাম্পের সব সাপোর্ট স্টাফকে ধন্যবাদ দিতে চাই।”
“কৃতিত্ব আসলে সবাইকে দিতে হবে, যেভাবে তারা সবাই প্রস্তুতি নিয়েছে। পাকিস্তানে এবং এর আগে দেশেও। আমি খুশি। তাদের থেকেও সব রকমের সহায়তা পেয়েছি।”
শেষে ম্যাচসেরার পুরস্কারের পুরো অর্থ দেশে বন্যাদুর্গতদের সহায়তায় দেওয়া কথা জানান মুশফিক। পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন ৩ লাখ পাকিস্তানি রুপি। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৭১৫ টাকা। এ সময় দেশের সবাইকে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
“আমার দলের অনুরোধে এই প্রাইজমানি বন্যার্তদের দান করতে চাই। আমি দেশের সবাইকে অনুরোধ করব, যাদের সামর্থ্য আছে সবাই যাতে এগিয়ে আসে।”
মন্তব্য করুন: