জন্মদিনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন শান্ত

২৫ আগস্ট ২০২৪

জন্মদিনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন শান্ত

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের ব্যাপারে আগে থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। শুধু তাই নয়, জন্মদিনের দিন স্বাগতিকদের হারানোর বিষয়ে আগের রাতে স্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছিল বাংলাদেশে অধিনায়কের।

রোববার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শুরুর আগে অনেকেই ধরে নেন ম্যাচটি ড্রয়ের দিকেই যাবে। কিন্তু খেলা শুরু হতেই টাইগার পেসার ও স্পিনারদের দাপটে ভেঙে যেতে থাকে পাকিস্তান ব্যাটিং অর্ডার। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় সেশনে তাদেরকে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৩০ রানের লক্ষ্য পায় শান্তর দল। ১০ উইকেটের জয়ে ১৪তম টেস্টে এসে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হারায় বাংলাদেশ।

এদিন ছিল অধিনায়ক শান্তর ২৬তম জন্মদিন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বাংলাদেশ অধিনায়ককে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে জানতে চান, দিনটি এর চেয়ে ভালো হতে পারত কি না? হাসি মাখা মুখে শান্ত বলেন, “এটা খুবই স্পেশাল। গত রাতে আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। সে বলছিল, ‘কালকে জিততে পারলে তোমার জন্য দিনটি খুব ভালো হবে।’ সৌভাগ্যবশত আমরা আমরা জিততে পেরেছি।”

সংবাদ সম্মেলনেও পাকিস্তানের সংবাদকর্মীদের কাছ থেকেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা পান শান্ত। তবে এই জয়ের গুরুত্ব তার কাছে বিশেষ কিছু অন্য কারণে।

“গত এক মাস আমাদের খুব কঠিন সময় ছিল। এখনও কিছু সমস্যা সেখানে আছে। তবে বাংলাদেশে আমরা সবাই পরস্পরের পাশে থাকি এবং এই জয় তাদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফোটাবে। এজন্য আমরা খুশি এবং পরের ম্যাচেও এরকম কিছুর চেষ্টা করব।”

ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচটি জিততে দিনের শুরু থেকেই দল আত্মবিশ্বাসী ছিল বলে জানান অধিনায়ক। সঙ্গে ছিল প্রথমবার পাকিস্তানকে টেস্টে হারানোর তাড়নাও। আর এই কাজটি আরও সহজ করে দেন দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তারা দুই জন মিলে ৭ উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দেন পাকিস্তান ব্যাটিং অর্ডার।

“আজকে সকালে মাঠে আসার সময় আমাদের বিশ্বাস ছিল, আমরা পারব। কারণ ৯৪ রানে এগিয়ে ছিলাম আমরা। পিচ বেশ কঠিন মনে হচ্ছিল। স্পিনারদের জন্য সহায়তা ছিল, পেসারদের বল ওঠা-নামা করছিল। জায়গামতো বল রাখতে পারলে ভালো কিছু হবে বলে মনে হচ্ছিল আমাদের।”

“এটা অনেক বড় জয়। আমরা আগে কখনও এখানে জিততে পারিনি। তবে এবার সিরিজ শুরুর আগে আমাদের বিশ্বাস ছিল যে, আমরা পারব এবং সেটা সত্যিই বিশ্বাস করেছি। সবাই বিশ্বাস করেছে যে, এবার স্পেশাল কিছু করা সম্ভব। সবাই যেভাবে নিজেদের মেলে ধরেছে, তাতে আমি খুশি এবং গত ১০-১৫ দিনে মাঠের ভেতরে-বাইরে সবাই যেভাবে পরিশ্রম করেছে, সেটির ফল মিলেছে।”

আগামী ৩০ আগস্ট একই মাঠে হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

মন্তব্য করুন: