বাবরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এড়িয়ে চলার পরামর্শ

৩০ আগস্ট ২০২৪

বাবরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এড়িয়ে চলার পরামর্শ

ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাবর আজমের। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টেও ছিলেন ব্যর্থ। সবশেষ সাত টেস্টে নেই কোনো ফিফটি। এমনকি গত এক বছরে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ডানহাতি এই ব্যাটারের সেঞ্চুরি কেবল একটি। আর এই খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে তাকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও পিসিবি প্রধান রমিজ রাজা।

রাওয়ালপিন্ডির ব্যাটিং পিচে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে কোনো রান না করেই শরিফুল ইসলামের বলে আউট হন বাবর। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটের পেছনে লিটন দাস ক্যাচ না ফেললে আবারও শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার ২২ রানের ইনিংসটি থামান নাহিদ রানা।

প্রথম ইনিংসে ফিল্ডিংয়ের সময় ১৫০ রানে থাকা মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ ফেলেন বাবর। আরও ৪১ যোগ করে মুশফিক ফেরেন ১৯১ রানে। এরপর বাংলাদেশের কাছে ১০ উইকেটে হারের পর পাকিস্তান দলের সঙ্গে বাবরের পারফরম্যান্সেরও বেশ সমালোচনা হয়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তারকা এই ব্যাটারকে নিয়ে বেশ ট্রল হয়।

রান করার দিক দিয়ে গত এক দশকের মধ্যে পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার ধরা হয় বাবরকে। কিন্তু গত এক বছরে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ও টুর্নামেন্টের কোনোটিতেই রানের দেখা নেই তার ব্যাটে। পুরো ক্যারিয়ারে গড় ৪৭ দশমিক ৭৩ হলেও গত এক বছরে ডানহাতি এই ব্যাটারের খেলা ৩৭ ম্যাচে তার গড় ৩৬ দশমিক ০৮।

বৃহস্পতিবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাবরের বাজে সময় নিয়ে আলোচনা করেন রমিজ। পাকিস্তানের এই সাবেক অধিনায়কের মতে, দলের ব্যর্থতায় অনেকে জড়িত থাকলেও সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে বাবরকেই।

মনে হচ্ছে, বাবরের ফর্ম ছাড়া পুরো জাতির আর কোথাও সমস্যা নেই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যাপারটা এমন হয়ে গেছে যে দল হেরেছে, আপনিও রান পাননি আর আপনি মানুষটি বাবর আজম – তাহলেই শিরোনাম হয়ে যায়। আমরা কীভাবে হারলাম? সে কী করল? তার অবদান কী?’’ এর সঙ্গে আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এখানে যে কেউই সমালোচনা করতে পারেন, হাসাহাসি করতে পারেন। এগুলো যতটা সম্ভব নিরুৎসাহিত করতে হবে।”

বাবরকে এখনও পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার বলে মনে করেন রমিজ। রান খরা কাটিয়ে উঠতে পাকিস্তানের সাদা বলের অধিনায়ককে কিছু পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “প্রথমত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এড়িয়ে চলতে হবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমানে মনোযোগ রাখতে হবে। রান না পেলে তখন এটা মানসিক খেলায় পরিণত হয় এবং অন্য ভাবনা শুরু হয়। বাবরের চেহারায় উদ্বেগ ফুটেও উঠেছে। সে ব্যাপক চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাই হতাশাও কাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সে কীভাবে ব্যাটিং করছে।”

মন্তব্য করুন: