লিটনের সেঞ্চুরিতে জবাব বাংলাদেশের
১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শুরু থেকে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলকে টেনে তুলতে গড়লেন রেকর্ড জুটি। তবে চা বিরতির আগে সঙ্গী ফিরলেও দুর্দান্ত শতক হাঁকিয়ে দলকে কিছুটা স্বস্তিতে রেখেছেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ থেমেছে ২৬২ রানে।
দিনের শেষ বেলায় হাসান মাহমুদের পেস তোপে ৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথম ইংনিসে ১২ রানে এগিয়ে থাকা স্বাগতিকদের লিড ২১ রান।
রোববার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাত্র ২৬ রানে প্রথম ছয় ব্যাটারকে হারিয়ে মারাত্মক চাপে পড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে লিটন-মিরাজের পাল্টা আক্রমণে চাপ সামলে উঠতে শুরু করে তারা।
পাকিস্তান বোলারদের তোপ সামলে ফলো-অনের শঙ্কা কাটিয়ে সপ্তম উইকেটে গড়েন রেকর্ড ১৬৫ রানে জুটি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৩০ রান বা এর চেয়ে কম রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারানোর পর কোনো দল সপ্তম উইকেটে ১৫০ রান বা এর বেশি করতে পারেনি।
বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানো এই জুটি ভাঙেন খুররাম শেহজাদ। দারুণ খেলতে থাকা মিরাজকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন নিজের পাঁচ উইকেট। মিরাজ ফেরেন ১২৪ বলে ৭৮ রানে। খানিকবাদে তাসকিন আহমেদ ফিরলে চাপ নিয়েই চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির পর দলকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন লিটন। অপরপ্রান্তে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন হাসান। পাকিস্তান বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে লিটন তুলে নেন সেঞ্চুরি। এই দুই ব্যাটারের পঞ্চাশোর্ধ জুটিতে লিড নেওয়ার স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সাইম আইয়ুবের দুর্দান্ত ক্যাচে ১৩৮ রান করা লিটন ফিরলে তা আর হয়নি। ভাঙে নবম উইকেটে ৬৯ রানের জুটি, যেখানে হাসানের অবদান ৫১ বলে ১৩ রান। দুই বল নাহিদ রানা এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়লে আর কোনো রান যোগ ছাড়াই অলআউট হয় সফরকারীরা।
ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই স্বাগতিক শিবিরে আঘাত হানেন হাসান। সাজঘরে ফেরান আবদুল্লাহ শফিককে (৩)। চতুর্থ ওভারে আবারও দৃশ্যপটে এই তরুণ পেসার। দারুণ এক ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড করেন কোনো রান না করা নাইটওয়াচম্যান শেহজাদকে।
এর আগে দিনের শুরুতে ১০ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দিনের চতুর্থ ওভারেই হারায় ওপেনার জাকির হাসানের (১) উইকেট। এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরে দলের টপ ও মিডল-অর্ডার। পরের ৬ ওভারে ১২ রান যোগ করতেই হারায় আরও ৫ উইকেট। একে একে সাজঘরে ফেরেন সাদমান ইসলাম (১০), নাজমুল হোসেন শান্ত (৪), মুমিনুল হক (১), মুশফিকুর রহিম (৩) ও সাকিব আল হাসান (২)।
মন্তব্য করুন: