চতুর্থ দিনেই ম্যাচ জেতার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের

২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চতুর্থ দিনেই ম্যাচ জেতার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের

হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানার আগুন ঝরানো বোলিংয়ে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানেই গুটিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা ১২ রানে এগিয়ে থাকায় ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার। কিন্তু প্রকৃতির বাধায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই বন্ধ হয়ে যায় চতুর্থ দিনের খেলা। আর পেসার হাসান জানিয়েছেন, এদিনই ম্যাচ শেষ করার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের।

সোমবার রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম বাংলাদেশী পেসার হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন হাসান। তার ও আরেক তরুণ পেসার নাহিদের গতি ও নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেন্থের কাছে ধরাশায়ী হয় পাকিস্তান ব্যাটিং অর্ডার। তবে সাইম আইয়ুবকে ফিরিয়ে শুরুর ধাক্কাটা দেন তাসকিন আহমেদ। একই সঙ্গে টেস্টে প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে ১০ উইকেটই নেন টাইগাররা পেসাররা।

দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাসান জানান, নিজেদের পরিকল্পনা মাফিক বল করেই সফল হয়েছেন বোলাররা।  

“আমার দায়িত্বের কথা বললে যখনই কোনো ফাস্ট বোলারকে বল দেওয়া হয় তার একটাই প্ল্যান থাকে যে সে উইকেট নেওয়ার মতো বল করবে। যত বল করতে পারবে সে ততই সফল হবে। তো আমার মনে হয়, তাসকিন ভাই দিনের শুরু করছিল উইকেট দিয়ে। এরপর রানা এসে অনেক ভালো করছে। মোমেন্টামটা আমাদের দিকে নিয়ে আসছে। এরপর আমাকে বল দেওয়া হয়েছে, আমিও আমার প্রসেসে ছিলাম। এ জন্য উইকেট পেলাম।”

৮১ রানে পাকিস্তানের ৬ উইকেট হারালেও সপ্তম উইকেট মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আগা সালমানের জুটি বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা বাড়ায়। তবে এখানেও বাধা হয়ে দাঁড়ান হাসান। বিপদজ্জনক হয়ে ওঠা রিজওয়ানকে (৫৩) ফিরিয়ে ভাঙেন ৫৫ রানের জুটিটি। পরের বলে তুলে নেন মোহাম্মদ আলীর উইকেটও।

“এই পার্টনারশিপ নিয়ে হাসান বলেন, অবশ্যই পার্টনারশিপ হলে দলের মধ্যে একটা অস্থিরতা কাজ করে। চেষ্টা করছিলাম... এত চিন্তা না করে এক জায়গায় কীভাবে বল করে রান আটকানো, দুই দিক থেকেই বাউন্ডারি বাঁচানো, সিঙ্গেলস না দেওয়া, মানে ভালো বোলিং চালিয়া যাওয়াই আমাদের পরিকল্পনা ছিল।”

লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার জাকির হাসান। অপর প্রান্তে তাকে সঙ্গ দেন সাদমান ইসলাম। প্রথম ৭ ওভারেই এই দুই ওপেনার মিলে তোলেন ৪২ রান। তবে আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই দিনের খেলার সমাপ্তি ডাকেন আম্পায়াররা।

“যদি আজকে বৃষ্টি না হতো তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা চেষ্টা করতাম কীভাবে আজকের মধ্যে খেলা শেষ করা যায়। বা চিন্তা করতাম আগামীকাল প্রথম সেশনে শেষ করার।”

মন্তব্য করুন:

Add