পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশই করল বাংলাদেশ
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শুরুটা করেছিলেন বোলাররা। এরপর ব্যাট হাতে বিপর্যয়ে পড়া দলকে টেনে তুলেছিলেন লিটন দাস। দ্বিতীয় ইনিংসে হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানার আগুন ঝরানো বোলিংয়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর দলের সামনে শঙ্কা হয়ে এসেছিল বৃষ্টি। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ।
এই সফরের আগে কখনও পাকিস্তানকে টেস্টে হারাতে না পারা বাংলাদেশ টানা দুই ম্যাচ জিতে তাদের হোয়াইটওয়াশ করলো। দেশের বাইরে এই নিয়ে তৃতীয় কোনো টেস্ট সিরিজ জিতল টাইগাররা। এর আগে ২০০৯ সালে খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও ২-০ ব্যবধানে হারানোর পর ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের মাটিতে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জেতে বাংলাদেশ।
১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জাকির হাসান। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামকে নিয়ে ৭ ওভারেই তোলেন ৪২ রান। তবে আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টির বাধায় চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই।
বৃষ্টির শঙ্কা থাকলেও মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডিতে ম্যাচের শেষ দিন রোদ ঝলমলে সকালে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দিনের ষষ্ঠ ওভারে ৪০ রানে জাকির ফিরলে ভাঙে ৫৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। তাকে বোল্ড করে পাকিস্তানকে স্বস্তি দেন মীর হামজা। দ্রুতই ফেরেন আরেক ওপেনার সাদমানও (২৪)।
১২ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারালেও তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক শান্ত ও মুমিনুল হকের জুটিতে জয়ের দিকেই এগুতে থাকে বাংলাদেশ। মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর ব্যক্তিগত ৩৮ রানে শান্ত সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৭ রানের জুটিটি। তাড়াহুড়ো করে ম্যাচ শেষ করতে গিয়ে মুমিনুলও ফেরেন ৩৪ রানে।
বাকি সময় কোনো বিপদ ছাড়াই দলকে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় এনে দেন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ২২ রানে। দলকে জেতানো বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সাকিব অপরাজিত থাকেন ২১ রানে।
এর আগে বৃষ্টির বাধায় প্রথম ইনিংসের খেলা ভেস্তে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিং তোপে ২৭৪ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। মিরাজের শিকার ৫টি ও তাসকিন নেন ৩ উইকেট।
জবাবে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে মারাত্মক চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে মিরাজের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড ১৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করেন লিটন।এরপর নবম উইকেটে হাসানকে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে আনেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিতে তিনি আউট হন ১৩৮ রান করে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ রানে এগিয়ে থাকা পাকিস্তান হাসান ও নাহিদের পেস তোপে গুটিয়ে যায় মাত্র ১৭২ রানেই। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নেন হাসান। নাহিদের শিকার ৪টি। আরেকটি উইকেট নেন তাসকিন।
মন্তব্য করুন: